তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন,’এই বিশ্ববিদ্যালয় যতদিন থাকবে, ততদিন তোমরা সময়ের সঠিক ব্যবহার করবে। পাঁচ বছরের জন্য এটিই তোমার জন্মভূমি।’
মঙ্গলবার (১০ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে ২০২৩-২৪ বর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য আরও বলেন,’ তোমাদের পরিচয় তৈরি হবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটস হিসেবে। তোমাদের সম্পর্ক থাকবে শ্রেণীকক্ষ, শিক্ষক, লাইব্রেরি এবং আবাসিক হলের সঙ্গে। তোমরা যদি শ্রেণিকক্ষে বই নিয়ে পড়তে চাও, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ খোলা থাকবে রাত বারোটা পর্যন্ত। যদি তোমরা না পড় তাহলে তোমরা নিজেদেরকে তৈরি করতে পারবে না। যারা পড়ে তারা মনে করে অনেক জানার আছে। যারা পড়ে না তারা মনে করে আমরা খুব জানি।’
ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে সকাল সাড়ে দশটায় এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপ-উপাচার্য অদ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম।
নবীনবরণে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধূরী মাহমুদ হাসান। এছাড়া অতিথি হিসেবে ছিলেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর। বিশেষ বক্তা হিসেবে ছিলেন বিআইআইটি-এর মহাপরিচালক ড. এম. আব্দুল আজিজ।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. শেখ এ.বি.এম. জাকির হোসেন, সভাপতিদের পক্ষে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. শরিফ মো: আল-রেজা, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, টিএসসিসি পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট।
মানারত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান বলেন, ‘ইসলাম মানুষ ও মানবতাকে মুক্তি দিয়েছে এবং পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত ইসলামই মানুষকে মুক্তি দেবে। তোমাদেরকে আলোকিত, দুর্নীতিমুক্ত মানুষ হতে হবে। নতুন বাংলাদেশ তোমাদের গড়তে হবে। এগুলো সবই সম্ভব যদি তোমাদের নিজেদের ভিতরেই পরিবর্তন আসে।
তিনি আরও বলেন, ইসলামের সোনালী যুগে জ্ঞান-বিজ্ঞানের সব শাখায় মুসলিম বিজ্ঞানীরা উন্নতি করতে পেরেছিল এজন্য যে, কোরআন বিজ্ঞানের কথা বলেছে, গবেষণার কথা বলেছে, পৃথিবী ও সৃষ্টিজগত নিয়ে ভাবতে বলেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী নবাগত শিক্ষার্থীদের সুস্বাগতম জানিয়ে শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি পরিহার, নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক ভেদাভেদ, অস্ত্রের ঝনঝনানি ও ব্যক্তিস্বার্থ ভুলে জ্ঞানার্জনে মনোনিবেশের পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুনঃ বগুড়ায় ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল কলেজ শিক্ষকের
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করব। যারা র্যাগিং করবে তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে।’
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাঃ কামরুজ্জামানের । এসময় ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী গোলাম রব্বানী এবং ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তাজমিন রহমান বক্তব্যে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।
জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়ে ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত এ ইউনিটের মাহমুদ, বি ইউনিটের মেহরিন ইসলাম, সি ইউনিটের এনায়েত জোয়ার্দার ও ডি ইউনিটের আশিক মিয়াকে পুরস্কৃত করা হয়।