spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ইবির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজের উদ্বোধন, ভুয়া পেইজে বন্ধে হুঁশিয়ারি

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ চালু করা হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ তার...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসরাসূল (সা.)-কে কটূক্তিকারী ইবির সেই কর্মকর্তা পলাতক

রাসূল (সা.)-কে কটূক্তিকারী ইবির সেই কর্মকর্তা পলাতক

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে অভিযুক্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাব-রেজিস্ট্রার মোজাম্মেল হক পলাতক রয়েছেন। বিনা ছুটিতে দীর্ঘদিন ধরে কাজে অনুপস্থিত থেকে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে, মোজাম্মেল হকের বিচারের দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। একই দাবিতে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ঝিনাইদহ ইমাম পরিষদও।

শিক্ষার্থীরা জানান, মোজাম্মেল হক দীর্ঘদিন ধরে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নারীলোভী বলে কটূক্তি করে আসছিলেন। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আল্লাহ স্বয়ং রাসূলের (সা.) চরিত্রের সার্টিফিকেট দিয়েছেন এবং তাকে সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছেন। এমন ঘৃণ্য মন্তব্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মত প্রতিষ্ঠানে এবং আল-হাদিস বিভাগের এক কর্মকর্তার কাছ থেকে আসা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তারা দ্রুত অভিযুক্ত কর্মকর্তার বহিষ্কারের দাবি জানান।

ঝিনাইদহ ইমাম পরিষদের স্মারকলিপিতে বলা হয়, মোজাম্মেল হক ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়েও কটূক্তি ও অশালীন মন্তব্য করেছেন, যা দেশের কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত হেনেছে। পরিষদ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, “ঘটনার পরপরই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটি এখন জাতীয় ইস্যু হয়ে গেছে। অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক বিভাগে আসছেন না। আগামীকাল প্রশাসনের সাথে মিটিংয়ে তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

আরও পড়ুনঃ ববি রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, কক্ষে তালা ও কুশপুত্তলিকা দাহ

তবে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ভুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোজাম্মেল হক। গ্রামবাসীর অভিযোগ, মহানবী (সা.) সম্পর্কে নারীলোভী মন্তব্য করার কারণে গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখে এবং পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে মৌখিক মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।