spot_img

― Advertisement ―

spot_img

জাকসুর নির্বাচন ঘিরে নানা অভিজ্ঞতা ও অভিযোগ তুলে জিএস প্রার্থী মাজহারুলের ফেইসবুক স্ট্যাটাস

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে নির্বাচনকে ঘিরে নানা অভিজ্ঞতা ও অভিযোগ...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসজাকসুর নির্বাচন ঘিরে নানা অভিজ্ঞতা ও অভিযোগ তুলে জিএস প্রার্থী মাজহারুলের ফেইসবুক...

জাকসুর নির্বাচন ঘিরে নানা অভিজ্ঞতা ও অভিযোগ তুলে জিএস প্রার্থী মাজহারুলের ফেইসবুক স্ট্যাটাস

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে নির্বাচনকে ঘিরে নানা অভিজ্ঞতা ও অভিযোগ তুলে ধরেছেন।

তিনি লেখেন, নির্বাচনের শুরু থেকেই তারা প্রশাসনকে চাপে রাখতে শক্ত অবস্থান নিয়েছিলেন, যেন শিক্ষার্থীরা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে এবং কোনো ধরনের কারচুপির সুযোগ না থাকে। নির্বাচনের আগের রাতেও একাধিক বিষয়ে চাপ প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু জনৈক বাগছাস নেতা বিষয়গুলোকে ভিন্নদিকে নিয়ে গিয়ে অনলাইনে ব্যাশিং করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

মাজহারুল দাবি করেন, নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রাক্তন নেতাদের নিয়ে কমিশনে মিটিং করা হয়। ছাত্রদল ও বাগছাস নেতাদের দাবির কারণে বিএনপিপন্থী মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠানকে জামায়াতপন্থী আখ্যা দিয়ে ওএমআর কাউন্টিং বাতিল করা হয়। এ ছাড়া হলে অবৈধভাবে অবস্থান করে নির্বাচন প্রভাবিতের চেষ্টা করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা গ্রেফতার হন। ১৫ নম্বর ছাত্রী হলের সামনে লিফলেট বিতরণ ও সাংবাদিকদের সঙ্গে অসদাচরণের ঘটনাও উল্লেখ করেন তিনি।

তার অভিযোগ, অমোছনীয় কালি ও অ্যালার্ট ঘণ্টা নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ এনে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়। তাজউদ্দিন হল কেন্দ্রে জোরপূর্বক প্রবেশের মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হলেও শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়। ২১ নম্বর হলেও শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে সংশ্লিষ্টরা। শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কাছে হেরে যাওয়ার ভয়ে কিংবা অদৃশ্য কারণে তারা ভোট থেকে সরে দাঁড়ান এবং কিছু শিক্ষক পদত্যাগ করেন। এমনকি জুম প্ল্যাটফর্মে বিদেশ থেকেও মিটিং হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

তবে তিনি স্বীকার করেন, নির্বাচনে কিছু অব্যবস্থাপনা, ত্রুটি ও উন্নতির জায়গা ছিলো। কিন্তু কোনো কেন্দ্রে ব্যালট জালিয়াতি, ব্যালট বাক্স চুরি কিংবা আগেভাগে সিল মেরে রাখার ঘটনা ঘটেনি। প্রায় ৭০ শতাংশ ভোটার ভোট প্রদান করেছেন, যা নির্বাচনের সুষ্ঠুতা প্রমাণ করে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ সাভারে কলা বাগানে তরুণীকে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার-৩-পলাতক-১

মাজহারুল আরও উল্লেখ করেন, ছাত্রী সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপিপন্থী এক শিক্ষকও মিথ্যাচার করেছেন, যা সিসিটিভি ফুটেজ ও শিক্ষার্থীদের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়েছে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে গঠনমূলক কাজ করলে পলিটিক্যাল দেউলিয়াত্বের শিকার হতে হয় না, নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করতে হয় না এবং মিথ্যাচারে ভরসা করতে হয় না। ভালো কাজ করলে শিক্ষার্থীরাই বেছে নেবে, অন্যথায় প্রত্যাখ্যান করবে।

শেষে তিনি গণনা কাজে আরও লোকসংখ্যা বাড়ানোর এবং দ্রুত ফলাফল প্রকাশের দাবি জানান। তা না হলে এর পরিণতি ভালো কিছু বয়ে আনবে না বলেও সতর্ক করেন তিনি।