spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ইবির জুলাই বিরোধীদের শাস্তি চায় বিএনপিপন্থী শিক্ষকবৃন্দ

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জুলাই অভ্যুত্থানবিরোধী ভূমিকায় থাকা ৩০ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত ও ৩৩জন ছাত্রলীগ নেতাকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসনারীর পোশাক নিয়ে কটুক্তিকারী শিক্ষকের বিচারসহ ৫ দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি 

নারীর পোশাক নিয়ে কটুক্তিকারী শিক্ষকের বিচারসহ ৫ দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি 

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাছির উদ্দিন মিঝি কর্তৃক হত্যাকান্ডের শিকার শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যু নিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করা, নারী শিক্ষার্থীর পোশাক নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে সাজিদ হত্যার দ্রুত বিচার, আন্দোলনকারী নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে কটুক্তিকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ ৫ দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) বেলা এগারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে শাখা ছাত্রদল, আগ্রাসনবিরোধী শিক্ষার্থী জোট, ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী অংশ নেয়।  

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী শহীদ সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার পর ১০৪ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত হত্যার বিচার হয়নি, কোন খুনিও গ্রেফতার হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়সারা মনোভাব এবং বিচার প্রক্রিয়ার অনিশ্চয়তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে গভীর ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দিয়েছে।

একই সাথে আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝি কর্তৃক সাজিদ আব্দুল্লাহকে “কোথাকার কোন মৃত পোলা, যাই হোক সে তো চইলাই গেছে” বলে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও কটূক্তির মতো লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে। তার এমন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নৈতিক অধঃপতন এবং বিচারবোধহীনতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এই ধরনের বক্তব্য শিক্ষকতার মহান পেশাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

এছাড়াও, বিভিন্ন সময় সাজিদ হত্যার বিচার দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের হুমকি প্রদান, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং আন্দোলন দমনে বিভিন্ন পক্ষের অনৈতিক হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।

আরও পড়ুনঃ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো ‘লার্ন টু লিড’ সেমিনার

এর প্রেক্ষিতে স্মারকলিপিতে উল্লেখিত ৫ দফা দাবি হলো- ১.শহীদ সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করে খুনিদের অতিদ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। ২. নিহত সাজিদকে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে ন্যাক্কারজনক ও যৌন হয়রানী মূলক বক্তব্য দেওয়ার অপরাধে তাকে বহিষ্কার করতে হবে। ৩. সাজিদ হত্যার বিচারের দাবীতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি হুমকি-ধামকি প্রদানকারীদের চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ৪. আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের “ন্যায্য প্রতিবাদ ও আন্দোলনে বাঁধা প্রদানকারীদের উদ্দেশ্য ও প্রবৃত্তি যাচাইয়ের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। ৫. বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের অধিকার ও আন্দোলনের সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষিত রাখতে হবে। কোনমতেই কোন আন্দোলনকারীর একাডেমিক ফলাফলের উপর বিরূপ প্রভাব যেন না পড়ে তা নিশ্চিত করতে হবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয় একটি শিক্ষা ও মুক্ত চিন্তার নিরাপদ অঙ্গন। এখানে বিচারহীনতা, দায়িত্বহীনতা এবং পোশাকের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের কোনো স্থান হতে পারে না। আমরা বিশ্বাস করি, আপনার সচেতন পদক্ষেপ ও কার্যকর ভূমিকার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যায়, সত্য এবং সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। আমাদের যৌক্তিক ও ন্যায্য দাবি সমূহ না মানলে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনে বসতে বাধ্য হবে।’

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘কোনো শিক্ষক যদি এই ধরনের কোনো শব্দ ব্যবহার করে সেটা মানহানিকর ও অপমানজনক। তিনি সাংবাদিকের মাধ্যমে এই ধরনের বক্তব্যের জন্য ওপেন দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক অথরিটি হিসেবে  শিক্ষকের পক্ষ হিসেবে সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আগামীতে কোনো শিক্ষক যেন এই ধরনের বক্তব্য না দেয় তোমাদেরকে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করছি।’

ওই শিক্ষকের বিচারের দাবির প্রেক্ষিতে উপাচার্য বলেন- ‘তোমরা অভিযোগপত্র দেও। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেখো কি করে। ‘