
জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমামের ছালাহ উদ্দিনকে মৌখিকভাবে অপসারণের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমামকে ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে যাওয়ার জন্য মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে নামাজে ইমামতি করতে না করা হয়েছে। এই নির্দেশনা দেওয়ার পর থেকে ওই ইমাম আর নামাজ পড়াতে পারছেন না।
সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ মে রাত ৯ ঘটিকার সময় ইমাম বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক ছাত্রীকে মসজিদের মহিলার নামাজ পড়ার স্থানে অবস্থান করছে বলে খোঁজ পান। পরে তিনি সঙ্গেসঙ্গে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জাহাঙ্গীর হোসেনকে ফোনে জানান। পরে প্রক্টরিয়াল টিম আসার আগেই মেয়েটি মসজিদ ত্যাগ করেন। মেয়েটিকে মসজিদে না পেয়ে প্রক্টরিয়াল টিম মসজিদের ইমামকে নানা প্রশ্ন করতে থাকেন।
আরও পড়ুনঃ ইমামকে অব্যাহতি: ঘটনা নিয়ে জবি প্রক্টরের বহুমুখিতা প্রদর্শন
ঘটনার বিষয়ে জানতে ইমামকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমি ওই ছাত্রীকে চিনিনা। মসজিদের ভেতরে একজন মেয়ে শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন জেনেই আমি প্রক্টরকে জানিয়েছিলাম। আমার মাঝে কোন অসৎ উদ্দেশ্য থাকলে আমি নিজে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরকে বিষয়টি অবগত করতাম না। আর এখন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বাদ দিয়ে দিচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আইনুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। বিষয়টি তদন্তে বের হয়ে আসবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, রাতের বেলা একটা মেয়ে মসজিদে কেন শুয়ে থাকবে। ইমামসাহেব সেখানে ছিলেন। এটাতো সেনসিটিভ ইস্যু। ঘটনা কি হয়েছে তা বের করার জন্য কমিটি করা হচ্ছে, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, গত ১৭ই মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ভেতরে অনুষ্ঠিত এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে জবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম পুরুষদের নামাযের অংশে অন্যধর্মালম্বী শিক্ষকদের নিয়ে পুরুষদের সামনে বক্তৃতা পেশ করেন। বক্তব্য দেওয়ার আগে উপাচার্যকে মসজিদে ভেতরে এভাবে বক্তব্য না দিতে অনুরোধ জানান সেই ইমাম। আর এতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ অনেকেই এই ঘটনায় ইমামের উপর ক্ষুদ্ধ হন। ওই ইমাম বিগত ৪-৫ বছর এই মসজিদে ইমামতি করেন। তবে কখনো উনার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উঠেনি।