spot_img

― Advertisement ―

spot_img

রামগঞ্জে দৈনিক “আমার দেশ” না আসায় পাঠকদের হতাশা

মো. মাসুদ রানা মনি, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর বহুল প্রতীক্ষিত জনপ্রিয় পত্রিকা "দৈনিক আমার দেশ" প্রকাশিত হলেও লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলায়...
প্রচ্ছদফিচারশীতে ভ্রমণের জন্য কুয়াকাটা: সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের অনন্য মিলনস্থল

শীতে ভ্রমণের জন্য কুয়াকাটা: সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের অনন্য মিলনস্থল

মোঃ তরিকুল মোল্লা, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত শীতকালে পর্যটকদের জন্য একটি অনন্য গন্তব্য। এ সৈকতটি বাংলাদেশের মধ্যে বিরল, কারণ এখান থেকে একই সাথে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়। প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সৈকতের বেলাভূমি শীতের মৃদু বাতাসে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। শীতের সময় কুয়াকাটার ঠাণ্ডা পরিবেশ, সমুদ্রের মিষ্টি বাতাস এবং চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভ্রমণকারীদের মনোমুগ্ধ করে।

কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও আকর্ষণীয় স্থান

কুয়াকাটার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো এর সমুদ্র সৈকত। শীতকালে সমুদ্র শান্ত থাকে, আর পর্যটকরা সৈকতের নিরিবিলি পরিবেশ উপভোগ করতে পারেন। এ ছাড়া, কুয়াকাটা থেকে নৌকায় করে ফাতরার চর ভ্রমণ পর্যটকদের জন্য একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা হতে পারে। সেখানে বিশাল ম্যানগ্রোভ বন এবং দিগন্ত বিস্তৃত বালুকাময় চর দেখার সুযোগ মেলে। কুয়াকাটায় রয়েছে কিছু ঐতিহাসিক স্থানও, যেমন শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ মন্দির এবং ১০০ বছর পুরোনো একটি গির্জা।

পদ্মা সেতুর কারণে কুয়াকাটায় ভ্রমণ সহজতর

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর ঢাকার সাথে কুয়াকাটার সরাসরি যোগাযোগ সহজ হয়ে গেছে। আগে যেখানে লঞ্চ ও বাসে দীর্ঘ সময় লাগতো, এখন মাত্র ৫ ঘণ্টায় কুয়াকাটায় পৌঁছানো সম্ভব। এ সুবিধার কারণে শীতের ছুটিতে কুয়াকাটায় ভ্রমণকারীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

কুয়াকাটার খাবার ও স্থানীয় জীবনযাত্রা

কুয়াকাটার মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রা এবং তাদের রান্নার ধরণ পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়। এখানকার স্থানীয় রেস্তোরাঁগুলোতে সমুদ্রের তাজা মাছ দিয়ে তৈরি করা খাবার বেশ জনপ্রিয়। শীতের মিষ্টি আবহাওয়ায় সৈকতের ধারে বসে স্থানীয় খাবার উপভোগ করা এক অনন্য অভিজ্ঞতা।

আরও পড়ুনঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কুমার শিপনের বিদায় সংবর্ধনা

পর্যটকদের জন্য কিছু টিপস

কুয়াকাটায় ভ্রমণে আসা পর্যটকদের জন্য শীতকালই সবচেয়ে আদর্শ। শীতের সময় সমুদ্রের পানি কম থাকে এবং আবহাওয়া ঠাণ্ডা ও আরামদায়ক। পর্যটকদের জন্য আবাসনেরও ভালো ব্যবস্থা রয়েছে—সাধারণ হোটেল থেকে শুরু করে বিলাসবহুল রিসোর্ট পর্যন্ত। পর্যটকরা চাইলে ঘোড়ায় চড়ে সৈকত ঘুরে দেখতে পারেন, যা এই এলাকার আরেকটি বিশেষত্ব।

সর্বোপরি, শীতে কুয়াকাটা ভ্রমণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে উপভোগ করার এক বিরল সুযোগ এনে দেয়। তাই যারা শহরের কোলাহল থেকে মুক্তি চান, তাদের জন্য কুয়াকাটা হতে পারে আদর্শ স্থান।