spot_img

― Advertisement ―

spot_img

এবার হিন্দুত্ববাদীদের দাবি আজমির শরিফ শিবমন্দিরের সাথে তৈরি

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতের রাজস্থানের বিখ্যাত সুফি সাধক খাজা মইনুদ্দিন চিশতির দরগাহ, যা আজমির শরিফ নামে পরিচিত, নিয়ে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন...
প্রচ্ছদআন্তর্জাতিকভারতে মসজিদের ইমামকে পিটিয়ে হত্যা করেছে জনতা

ভারতে মসজিদের ইমামকে পিটিয়ে হত্যা করেছে জনতা

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের কোডারমা জেলায় রঘুনিয়াদিহের ইমাম মাওলানা সাহাবুদ্দিনকে তার বাইকে বাড়ি ফেরার সময় এক মহিলাকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগে সেই ইমামকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছেন দ্যা অবজারভার পোস্ট।

গত রবিবার (৩০ জুন) সকাল ৮ টার দিকে টু-হুইলারে বাড়ি ফেরার পথে এমন ঘটনা ঘটে বলে জানয়েছেন মাওলানা সাহাবুদ্দিনের ছেলে মোঃ পারভেজ আলম।

তিনি জানান, “আমার বাবা একজন ইমাম এবং তিনি হাজারীবাগের বারকাদা জেলায় শিশুদের পড়াতেন। সেদিন বাড়ি ফেরার জন্য বাবা বসরাও থেকে তার টু-হুইলারে করে বুনিচৌদিয়ায় উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ঘুথারি কারিয়ার কাছে আসলে, বাবার বাইকটিকে একটি অটো ধাক্কা দেয়, যার ফলে বাইকটি সামনের দিকে সজোরে এগিয়ে যাই এবং সামনে থাকা এক মহিলার সাথে ধাক্কা খাই। যার ফলশ্রুতিতে মহিলা তার হাতে এবং নাকে আঘাত পান। মহিলাটি খুথারি কারের বাসিন্দা অনিতা দেবী।”

তিনি আরো জানান, “অনিতা দেবীর স্বামী মহেন্দ্র যাদব এবং তার শ্যালক রামদেব যাদব এবং অন্যান্য স্থানীয় বাসিন্দারা এবং কাছাকাছি ক্রিকেট খেলা ছেলেরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়েছিল। অনিতা দেবী জনতাকে বাবাকে না মারতে অনুরোধ করলেও, তারা তাকে লাঠিপেটা করতে থাকে। এ সময় তার নাক থেকে রক্তপাত হচ্ছিল, কিন্তু তার কোনো বাহ্যিক আঘাত ছিল না, সম্ভবত অভ্যন্তরীণ রক্তপাত ছিল। আমরা চাই কর্তৃপক্ষ বিষয়টির সুষ্ঠ তদন্ত করুক।”

আরও পড়ুনঃ জার্মানিতে কমেছে বিবাহবিচ্ছেদ ও বিয়ের হার

অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন (এআইএমআইএম) এর সাথে যুক্ত একজন স্থানীয় নেতা সুরজ দাস বলেছেন, “মোটরসাইকেল দ্বারা ধাক্কা দেওয়া মহিলা জনতাকে মাওলানাকে মারধর না করার জন্য অনুরোধ করছিল, কিন্তু তারা তাকে মারধর করতে থাকে। মহিলাটি গুরুতর আহত হননি, তবুও জনতা তাকে মারধর করেছে কারণ সে একজন মুসলিম। তারা সম্ভবত তাকে টুপি এবং দাড়ি পরা দেখেছে।”

এ সময় তিনি আরো বলেন, “তিনি দুর্ঘটনায় মারা যাননি; যদি তাই হতো, তাহলে তাকে রক্ষা করা যেত, কিন্তু জনতা তার মাথায় আঘাত করে।”

অন্যদিকে পুলিশ জনতার সহিংসতার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছে, “মাওলানা সাহাবুদ্দিনের দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলাম এবং আমরা তাকে পুলিশের গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তিনি মারা যান।

বর্তমানে তার মৃতদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে একজন পুলিশ অফিসার।