
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) মোবাইল অপারেটরদের ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, ইন্টারনেট প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হলে অবশিষ্ট ডাটা কেবল সেই প্যাকেজেই নয়, যেকোনো নতুন প্যাকেজ কিনলেও তা যুক্ত হবে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিটিআরসির ‘মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর ডাটা এবং ডাটা প্যাকেজ সম্পর্কিত নির্দেশিকা, ২০২৪’-এ এই নতুন নিয়ম প্রণয়ন করা হয়।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, গ্রাহক কোনো প্যাকেজ পুনরায় কিনলে অব্যবহৃত ডাটা পুরোপুরি যোগ হবে। আগে সর্বোচ্চ ৫০ জিবি পর্যন্ত ক্যারি ফরওয়ার্ড করা যেত, তবে এখন আর এই সীমাবদ্ধতা নেই।
বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান জানান, “গ্রাহক স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগে নির্দিষ্ট প্যাকেজেই ডাটা যুক্ত হতো, কিন্তু এখন যেকোনো প্যাকেজে তা ব্যবহার করা যাবে।”
নতুন নির্দেশিকায় অপারেটরদের তিন ধরনের প্যাকেজ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে: নিয়মিত প্যাকেজ: সর্বনিম্ন ১৫ দিনের মেয়াদ।
গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ: মেয়াদ অন্তত ৩ দিন। গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) প্যাকেজ: মেয়াদ অন্তত ৭ দিন। এছাড়া অপারেটররা ঘণ্টাভিত্তিক, এক থেকে তিন দিনের মেয়াদি প্যাকেজ করার সুযোগ পাবে।
ডাটা প্যাকেজের সর্বোচ্চ সীমাঃ প্রতি ঘণ্টার জন্য সর্বোচ্চ ২০০ এমবি। এক দিনের জন্য ৩ জিবি। দুই দিনের জন্য ৫ জিবি। তিন দিনের জন্য ৮ জিবি।
আরও পড়ুনঃ যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনা
প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক দিন আগেই গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে নোটিফিকেশন দিতে হবে। অপারেটরদের প্রতিটি প্যাকেজের তালিকা তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। ডাটা অব্যবহৃত থাকলে গ্রাহককে পুনরায় প্যাকেজ কেনার নির্দেশনা এসএমএসে দেওয়া হবে।
নতুন নির্দেশনায় গ্রাহকদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া দেখা গেছে। এক গ্রাহক জানান, “আগে একই প্যাকেজ কিনতে বাধ্য হওয়া লাগত। এখন যেকোনো প্যাকেজেই ডাটা যুক্ত হবে, যা আমাদের জন্য অনেক সুবিধাজনক।”
বিটিআরসির এই উদ্যোগ গ্রাহকস্বার্থ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।