
জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা এবং রাষ্ট্র বিনির্মাণে রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো নিজ নিজ অবস্থান থেকে কিছুটা ছাড় দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
শনিবার (৩ মে) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “জাতীয় স্বার্থে রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় আমরা সবাই সমবেত হয়েছি। প্রতিটি দল ও জোট কিছুটা ছাড় দিতে প্রস্তুত থাকবে।”
আলোচনার শুরুতেই আলী রীয়াজ বলেন, “গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একটি জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে, যার ভিত্তিতে একটি জাতীয় সনদ প্রণয়ন করা হবে।”
তিনি বলেন, “জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে, তা জাতি ও রাষ্ট্রের সামনের পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আমাদের সবাইকে একত্রিত হতে হবে। এর মানে এই নয় যে সব বিষয়ে আমাদের একমত হতে হবে, তবে রাষ্ট্র বিনির্মাণ, পুনর্গঠন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমরা একমত হতে পারবো বলে বিশ্বাস করি।”
এসময় আলোচনায় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. ইফতেখারুজ্জামান, বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
আরও পড়ুনঃ প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করছে সরকার: অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের পক্ষ থেকে আলোচনায় অংশ নেয় ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। দলের সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, ডা. সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এম এন শাওন সাদিকী, কারী আবু তাহের প্রমুখ।
এছাড়া আলোচনায় জানানো হয়, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লিখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে তাদের মতামত গ্রহণ করেছে।