spot_img

― Advertisement ―

spot_img

আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনে ধানের শীষের টিকিটে লড়তে প্রস্তুত রাজশাহীর রমেশ দত্ত ও বিশ্বনাথ সরকার

পাভেল ইসলাম মিমুল, নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজশাহীতে বিএনপির ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট ও সনাতনী...
প্রচ্ছদজাতীয়“১৭ বছরের স্বৈরাচার উৎখাতে জুলাইয়ের যোদ্ধাদের প্রচেষ্টা ছিল একটি শেষ না হওয়া...

“১৭ বছরের স্বৈরাচার উৎখাতে জুলাইয়ের যোদ্ধাদের প্রচেষ্টা ছিল একটি শেষ না হওয়া ম্যারাথনের মতো”

নিজস্ব প্রতিবেদক: যারা জীবন দিয়ে স্বৈরাচার হটিয়েছেন, জাতি যতদিন থাকবে, ততদিন তাদের কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে—বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেন, “১৭ বছরের স্বৈরাচার উৎখাতে জুলাইয়ের যোদ্ধাদের প্রচেষ্টা ছিল একটি শেষ না হওয়া ম্যারাথনের মতো।”

শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকালে আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি) প্রাঙ্গণে ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত প্রতীকী ম্যারাথনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন।

উপদেষ্টা বলেন, “জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে মানুষ এতটাই উদ্বুদ্ধ ছিল যে, অনেকে ক্ষুধার্ত অবস্থায় এবং পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েও আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তাদের কাছে মারণাস্ত্র বা সামরিক প্রশিক্ষণ ছিল না। কিন্তু দেশপ্রেম, ন্যায়ের প্রতি অঙ্গীকার ও সাহসিকতার শক্তিতে তারা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।”

তিনি বলেন, “আমাদের এই দেশগড়ার সংগ্রামটিও এক দীর্ঘ ম্যারাথনের মতো। যত কষ্টই হোক, যত সময়ই লাগুক—এই লড়াই আমাদের শেষ করতেই হবে।”

এসময় উপদেষ্টা জানান, জুলাই শহীদ ও আহতদের কল্যাণে ফাউন্ডেশনের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা হবে। তিনি বলেন, “জুলাই স্মরণে সরকারের অনেক আয়োজনের মধ্যে এই প্রতীকী ম্যারাথন একটি। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই আয়োজন হবে যাতে কেউ বাদ না পড়ে।”

আরও পড়ুনঃ আপা আর আসবেন না: তাসনিম খলিল

সকাল ৭টায় ম্যারাথন উদ্বোধনের পর উপদেষ্টা নিজেও দৌড়ে অংশ নেন। ম্যারাথনটি বিআইসিসি থেকে শুরু হয়ে গণভবন, আসাদ গেট, মানিক মিয়া এভিনিউ, ফার্মগেট, খামারবাড়ি মোড় ও বিজয় সরণি মেট্রোরেল স্টেশন প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বিআইসিসিতে এসে শেষ হয়। প্রায় ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই দৌড়ে ৭০০ নারী-পুরুষ অংশ নেন।

‘৩৬ জুলাই’ স্মরণে প্রতীকীভাবে ১৮ জন নারী ও ১৮ জন পুরুষ—মোট ৩৬ জন অংশগ্রহণকারীকে ক্রেস্ট ও সম্মাননা প্রদান করা হয়। বিজয়ী, প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপরাও সম্মাননা পান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ. এইচ. এম. শফিকুজ্জামান এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কামাল আকবরসহ অনেকে।