spot_img

― Advertisement ―

spot_img

জাকসু নির্বাচন বর্জন, পুনঃনির্বাচনের দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। পাশাপাশি পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে...
প্রচ্ছদজাতীয়ইতালিতে অভিবাসনে কেবল সরকারি ফি দিতে হবে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ইতালিতে অভিবাসনে কেবল সরকারি ফি দিতে হবে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইতালিতে অভিবাসনের ক্ষেত্রে আগ্রহীদের সরকারি কনস্যুলার ও প্রশাসনিক ফি ছাড়া অন্য কোনো অর্থ পরিশোধের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সোমবার (১১ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়।

মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, “ইতালি সরকার ‘ফ্লুসি ডিক্রি’ কর্মসূচির অধীনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশ থেকে মৌসুমি ও অমৌসুমি খাতে কর্মী নিয়োগ করে থাকে। ২০২২ সাল থেকে বাংলাদেশ পুনরায় এ কর্মসূচির আওতায় আসায় মৌসুমি কাজে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি হয়েছে। তবে কেউ যেন অসাধু ব্যক্তিদের কাছে লাখ লাখ টাকা পরিশোধ না করেন, কারণ এই অর্থ ভিসা প্রক্রিয়াকে দুর্নীতির মাধ্যমে প্রভাবিত করতে ব্যবহৃত হতে পারে, যার ফলে ভিসা বাতিলসহ আইনি জটিলতা দেখা দিতে পারে।”

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, নুলা ওস্তা তথা ওয়ার্ক পারমিটের মুলতবি আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয়ে ইতালির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসহ বিভিন্ন বৈঠকে এ বিষয়টি জোরালোভাবে উত্থাপন করা হয়েছে এবং ইতালির পক্ষ থেকে সমাধানের আশ্বাস পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৪০ হাজার মুলতবি আবেদনের মধ্যে ৮ হাজারের বেশি নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং শিগগিরই আরও প্রায় ২০ হাজার আবেদনের যাচাই শুরু হবে।

মন্ত্রণালয় জানায়, “২০২৪ সালের ২২ অক্টোবরের পর ইস্যুকৃত ওয়ার্ক পারমিটে কোনো স্থগিতাদেশ নেই। ফলে ২০২৫ সালের ফ্লুসি ডিক্রির আওতায় ওই তারিখের পর আবেদনকারীদের মধ্যে কয়েকশ বাংলাদেশি ইতোমধ্যে ভিসা পেয়েছেন এবং আগামী মাসগুলোতে আরও অনেকে পাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।”

আরও পড়ুনঃ নির্বাচন প্রস্তুতিতে পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতার আহ্বান ডিএমপি কমিশনারের

অসাধু চক্রের মাধ্যমে জাল ওয়ার্ক পারমিট ও নকল নথি জমা দেওয়ায় যাচাই প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সময় লাগছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে ইতালিতে একাধিক ফৌজদারি তদন্ত চলছে।

এছাড়া, গত ৬ মে বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে অভিবাসন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা বৈধ উপায়ে দক্ষ কর্মী পাঠানোর পথ সুগম করেছে এবং অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক করে জানায়, “নেতিবাচক প্রচার বা কার্যক্রম ইতালি সরকারের বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে, যা ভিসাপ্রত্যাশী বা ভবিষ্যতের আবেদনকারীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই ধৈর্য ধারণ করে প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা রাখাই বাঞ্ছনীয়।”