spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদজাতীয়দেশের ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ সিদ্ধান্ত নেননি ভোট কাকে দেবেন, ...

দেশের ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ সিদ্ধান্ত নেননি ভোট কাকে দেবেন, বিআইজিডি জরিপ

স্টাফ রিপোর্টার: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কাকে দেবেন, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি দেশের ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। আর ভোট দেবেন না বলে জানিয়েছেন ১ দশমিক ৭ শতাংশ। ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভার্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) ও ভয়েস ফর রিফর্মের যৌথ উদ্যোগে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের ওপর পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

সোমবার (১১ আগস্ট) জাতীয় আর্কাইভ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘জনগণের মতামত, অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশা জুলাই-২০২৫’ শীর্ষক এই জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন বিআইজিডির ফেলো অব প্র্যাক্টিস সৈয়দা সেলিনা আজিজ।

জরিপে অংশ নেওয়া উত্তরদাতাদের মধ্যে বিএনপিকে ভোট দিতে চান ১২ শতাংশ, জামায়াত ইসলামিকে ১০ দশমিক ৪ শতাংশ, আওয়ামী লীগকে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ, জাতীয় নাগরিক পার্টিকে ২ দশমিক ৮ শতাংশ, জাতীয় পার্টিকে ০ দশমিক ৩ শতাংশ, অন্যান্য ইসলামী দলকে ০ দশমিক ৭ শতাংশ এবং অন্যান্য দলকে ১ দশমিক ৮ শতাংশ।

এ ছাড়া ভোট দেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ, ভোট দেবেন না বলে জানিয়েছেন ১ দশমিক ৭ শতাংশ এবং উত্তর দেননি ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ।

জরিপে দেখা গেছে, দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে মানুষের আশাবাদ গত বছরের তুলনায় কমেছে। বর্তমানে ৪২ শতাংশ মানুষ মনে করেন দেশ রাজনৈতিকভাবে সঠিক পথে চলছে, যা ২০২৪ সালের আগস্টে ছিল ৭১ শতাংশ। অর্থনৈতিকভাবে দেশ সঠিক পথে চলছে মনে করেন ৪৫ শতাংশ, যা এক বছর আগে ছিল ৬০ শতাংশ।

প্রধান সমস্যা হিসেবে ১৮ শতাংশ উত্তরদাতা নির্বাচিত সরকার না থাকা, ১৫ শতাংশ অর্থনীতি ও ব্যবসায় মন্দা, ১৪ শতাংশ আইনশৃঙ্খলার অবনতি, ১৩ শতাংশ রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ৯ শতাংশ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি উল্লেখ করেছেন।

আরও পড়ুনঃ রাজশাহীতে পদ্মার পানি বিপদসীমার কাছাকাছি

সংস্কার নিয়ে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৫১ শতাংশ মনে করেন, ভালোভাবে সংস্কার করে তারপর নির্বাচন হওয়া উচিত। ১৭ শতাংশ চান কিছু জরুরি সংস্কারের পর নির্বাচন, ১৪ শতাংশ চান সংস্কার ছাড়া নির্বাচন।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন চান ৩০ শতাংশ, রাজনৈতিক অস্থিরতা কমাতে চান ১৯ শতাংশ, নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার চান ১৯ শতাংশ এবং দুর্নীতি দমন চান ১৭ শতাংশ উত্তরদাতা।

মব সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ৮০ শতাংশ মানুষ, নারীর নিরাপত্তা নিয়ে ৫৬ শতাংশ এবং রাতে চলাচলে নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করেন ৬১ শতাংশ। পোশাকের কারণে হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ৬৭ শতাংশ উত্তরদাতা।

নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে ৩২ শতাংশ চান চলতি বছরের ডিসেম্বরের আগে ভোট, ১২ শতাংশ চান আগামী ফেব্রুয়ারিতে, ১১ শতাংশ চান আগামী জুনের মধ্যে এবং ২৫ শতাংশ চান আগামী ডিসেম্বর বা তার পরে নির্বাচন। সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে আশাবাদী ৭০ শতাংশ, আর ১৫ শতাংশ মনে করেন তা সুষ্ঠু হবে না।