
এখন থেকে হোটেল-রেস্তোরাঁয় ছাড় পাবেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। এই সুযোগ কেবলমাত্র ট্যুরিস্ট পুলিশের আওতাধীন ঢাকা অঞ্চলের সদস্যরা উপভোগ করতে পারবেন। ছাড়ের আওতায় থাকা এই অঞ্চলের বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান ও রেস্তরাঁয় খাওয়ারন ওপর বিশেষ মূল্যছাড় পাওয়া যাবে।
২৬ এপ্রিল ট্যুরিস্ট পুলিশের ঢাকা অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) নাইমুল হক এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন সদর দপ্তরে (ট্যুরিস্ট পুলিশ)। চিঠির মারফত এই তথ্য জানা গেছে।
চিঠির বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে- ‘বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদের জন্য বিভিন্ন হোটেল-রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট (রেস্তোরাঁ) ও ট্যুর অপারেটরদের কাছ থেকে ডিসকাউন্ট অফার (প্রস্তাব) প্রাপ্তি প্রসঙ্গে।’
আরও পড়ুনঃ জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২ বাংলাদেশি ভারতে গ্রেপ্তার
চিঠিতে ২৬টি হোটেল ও রেস্তোরাঁর তালিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি হোটেল ও রেস্তোরাঁ এবং ১৪টি রেস্তোরাঁ রয়েছে। হোটেলে সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্টে থাকতে পারবেন পুলিশ সদস্যরা। আর রেস্তোরাঁয় খাওয়ার ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ ছাড় পাবেন।
পুলিশ সদস্যদের পরিচয়পত্র দেখানো সাপেক্ষে এই সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। তবে সরকারি প্রয়োজনে এবং দায়িত্ব পালনের জন্য ঢাকা অঞ্চলে এলে এ ধরনের সুবিধা উপভোগ করা যাবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের ঢাকা অঞ্চলের এসপি নাইমুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, নানা প্রয়োজনে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পুলিশ সদস্যদের ঢাকায় আসতে হয়, রাতে থাকতে হয়। সরকারিভাবে তাদের যে ভাতা দেওয়া হয়, সেটি প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। তাই হোটেল ও রেস্তোরাঁর সঙ্গে চুক্তি থাকলে দেখা যায়, তারা একটু কম খরচে থাকা-খাওয়ার সুযোগ পান। এতে পুলিশ সদস্যদের সুবিধা হয়।
এসপি নাইমুল হক আরও বলেন, এটা অনেকটা কর্পোরেট চুক্তির মতোই। হোটেল-রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন গ্রুপকে এ ধরনের প্রস্তাব করে থাকে। পুলিশ সদস্যদের জন্যও হোটেল-রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ এই প্রস্তাব করেছে।
এ ধরনের চুক্তি কক্সবাজার, সিলেটসহ বিভিন্ন অঞ্চলের হোটেল ও রেস্তোরাঁর সঙ্গে পুলিশের রয়েছে বলেও তিনি জানান।
তিনি বলেন, ঢাকা অঞ্চলে হয়তো কিছুদিন হলো শুরু হয়েছে। সরকারি প্রয়োজনে এবং দায়িত্ব পালনের জন্য এলে পুলিশ সদস্যরা এ ধরনের সুবিধা পাবেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই পুলিশ সদস্যদের পরিচয়পত্র দেখাতে হবে।