spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদজাতীয়সর্বত্র ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রাখবে মসজিদ

সর্বত্র ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রাখবে মসজিদ

সমাজে সর্বজনীন শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া, যাকাত ব্যবস্থার মাধ্যমে দারিদ্র দূরিকরণ, পবিত্রতা ও পরিচ্ছনতার চেতনা জাগ্রত করে জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন, সর্বোপরি সমাজের সর্বত্র ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রাখবে দেশের মসজিদগুলো।

শনিবার (২৫ মে) ঢাকার ফার্মগেটস্থ বায়তুশ শরফ ইসলামী গবেষণা কেন্দ্রে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।

‘মসজিদ ভিত্তিক সমাজ গড়ার স্বপ্ন : বায়তুশ শরফের প্রতিষ্ঠাতা শাহ মওলানা মীর মুহাম্মদ আখতর (রা) এর মিশন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রাহবারে বায়তুশ শরফ আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পরমাণু বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এম শমশের আলী।
প্রবন্ধ পাঠ করেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক আলহাজ্ব আমান উল্লাহ খান। সূচনা বক্তব্য ও সঞ্চালনা করেন গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী।

আরও পড়ুনঃ একরাতে চুরি পাঁচটি ট্রান্সফরমার, সেচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার আর্টস ফ্যাকাল্টির সাবেক ডীন ড. মাহফুজুর রহমান, বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ ঢাকা শাখার সহসভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মালেক মোল্লা, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ নূরুল হুদা, মসজিদ বায়তুশ শরফ ঢাকার খতিব মওলানা জাফর আহমদ, বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ ঢাকার সহসভাপতি আলহাজ জহুরুল ইসলাম চৌধরী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, খুলনা বায়তুশ শরফ মসজিদের খতিব মওলানা ইব্রাহীম ফয়জুল্লাহ, কক্সবাজার বায়তুশ শরফের প্রতিনিধি হাফেজ মুজিবুর রহমান বেলাল ও জনাব আনোয়ারুল আজিম আজাদ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নবী করিম (সা)-এর জমানায় মদীনার মসজিদে নববী ইসলামী সমাজ ও রাষ্ট্রের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে। মসজিদের যে জায়গার বসে তিনি বিভিন্ন গোত্রীয় প্রতিনিধিদলকে সাক্ষাত দিতেন তা এখনও প্রতিনিধিদলের স্তম্ভ হিসেবে চিহ্নিত আছে।

আমাদের দেশের মসজিদগুলো এখনো শিশুকিশোর থেকে শুরু করে বয়ষ্কদের শিক্ষায়তন হিসেবে সমাজে শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চা এবং সুন্দর জীবনবোধ ও সুকীর্তির আলো বিকিরণ করতে পারে। তবে এর জন্য সুষ্ঠু চিন্তাভাবনা, পরিকল্পনা ও উদ্যোগের প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।

বক্তারা আরও বলেন, বায়তুশ শরফের প্রতিষ্ঠাতা শাহ মওলানা মুহাম্মদ আখতর (র.) একজন বড় ওলী ছিলেন এবং তিনি মসজিদে নববীর আদলে মসজিদ বায়তুশ শরফ প্রতিষ্ঠা করে মসজিদসমূহকে আধ্যাত্মিক ও জাগতিক কর্মকাণ্ডের চালিকাশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন।