
নিজস্ব প্রতিনিধি:
বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরবরাহকৃত গ্যাসের দাম বেড়েছে। সেইসাথে শিল্প-কারখানায় ব্যবহ্নত ক্যাপটিভ পাওয়ারে সরবরাহ করা গ্যাসের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। উভয় ক্ষেত্রে ঘনমিটার প্রতি ৭৫ পয়সা করে বেশি দিতে হবে। তবে বাসাবাড়ি ও পরিবহনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম একই আছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে জ্বালানি বিভাগ নতুন এই দাম নির্ধারণ করেছে। ফেব্রুয়ারি থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে, তাই গ্রাহকদের মার্চেই নতুন দামে বিল পরিশোধ করতে হবে।
এদিকে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ায় বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। এতে করে গ্রাহক পর্যায়েও বিদ্যুতের দাম বাড়বে। আজ পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন হতে পারে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে, গতকাল সকালে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আবাসিকে গ্যাসের দাম বাড়ছে না। কেবল বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ঘনমিটার প্রতি ৭৫ পয়সা বাড়ানো হচ্ছে। শিল্পেও বাড়বে না।
জ্বালানি বিভাগের উপসচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য নতুন দাম হবে ঘনমিটার প্রতি ১৪ দশমিক ৭৫ টাকা। অন্যদিকে শিল্পের ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঘনমিটার প্রতি দাম হবে ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা।
সর্বশেষ গত বছরের জানুয়ারিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৫ টাকা ৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৪ টাকা এবং ক্যাপটিভ ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছিল। তখন শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। তবে পরিবহন খাতে ব্যবহৃত সিএনজি ও আবাসিকের গ্যাসের দাম বাড়ায়নি সরকার।