নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পশ্চিম অঞ্চলের উদ্যোগে ঢাকা জেলা পশ্চিম ও উত্তরের একসাথে সাথী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর পল্লবী ২নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারের অডিটোরিয়ামে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ।
উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন। কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ডা. সাদেক আবদুল্লাহ ও ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সভাপতি এস এম সালাহউদ্দিন মাহমুদের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম।
সেলিম উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশের স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটেছে, কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র এখনও থেমে নেই। তারা আমাদের অর্জিত বিজয়কে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য নানা চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ছাত্রশিবিরের মতো আদর্শিক সংগঠনের জনশক্তি মাঠে থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না। আমাদের ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে, তা পূর্ণতা দিতে হলে প্রত্যেককে সৎ, ত্যাগী ও আদর্শের পথ অনুসরণ করে এগিয়ে যেতে হবে।
প্রধান বক্তা জাহিদুল ইসলাম তার আলোচনায় ছাত্ররাজনীতি সম্পর্কে তুলে ধরেন গত সাড়ে পনেরো বছর স্বৈর শাসনের কারণে ছাত্র রাজনীতি একটি অপরাজনীতিতে পরিণত হয়েছে । কারণে একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র যারা এখন বয়স ২০ তার পুরোটা জীবন অতিবাহিত হয়েছে অপরাজনীতির মধ্য দিয়ে। কিন্তু ছাত্রশিবির হচ্ছে একটি স্বতন্ত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেমন একাডেমিক বিল্ড আপ হয় তেমনি তার মরালিটিও তৈরি হয়। একটা ভালো মানুষত্ববোধ তৈরি হয় যেটা সকল পিতা-মাতার চাওয়া পূরণ করে ছাত্রশিবির।
আরও পড়ুনঃ চিলমারীতে জামায়াতের অফিস উদ্বোধন ও যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত
তার আলোচনায় শহীদদের অবদান তুলে ধরে বলেন, গণঅভ্যুত্থানের শহীদরা কোনো দলের নয়, তারা দেশের সম্পদ। তারা দেশের জন্য নিজের প্রাণ দিয়েছেন এবং তাদের এই আত্মত্যাগ পুরো জাতির জন্য। এই আন্দোলনের কৃতিত্ব কোনো একক দলের নয়; দেশের প্রতিটি নাগরিকই এই আন্দোলনের স্টেকহোল্ডার। আমরা যদি শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চাই, তাহলে দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থে কাজ করতে হবে।
সমাবেশে বক্তারা ছাত্রশিবিরের আদর্শিক ও ত্যাগী কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। এবং প্রত্যেক কে বলেন আমাদের প্রত্যেক কে সদকায়ে জারিয়ার লোভ তৈরি করতে হবে, সেভাবে আমল আখলাকে জীবন চালিয়ে যেতে হবে।নিজেদের কে বিপ্লবী কর্মীর আলোকে জীবন গড়ে তোলার জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু সালামের জীবনের দিকে তাকিয়ে আমাদের সুন্দর তম ক্যারিয়ার গড়ে আল্লাহর জন্য লিড দিতে হবে। এবং দ্বীনি জীবন গড়ে তুলতে হবে।