
মোঃ তরিকুল ইসলাম কলাপাড়া (উপজেলা) প্রতিনিধিঃ বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার আদালতকে ব্যবহার করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ১০ বছরের সাজা দিয়েছিল, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিল। কিন্তু দেশপ্রেমিক নেত্রী খালেদা জিয়া সেই সাজা ভোগ করেও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। তিনি দেশবাসীর সঙ্গে থেকেছেন এবং দেশের মাটিকে ভালোবেসে লড়াই করে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে, শেখ হাসিনার পরিবার নিয়ে ভারতের শরণাপন্ন হওয়ার অভিযোগ তুলে মোশারফ বলেন, “নিজের কর্মীদের বিপদে ফেলে পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা।”
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় মহিপুর থানা বিএনপি’র উদ্যোগে মহিপুর কো-অপ্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাসে যখনই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে, তখনই বিএনপি জয়লাভ করেছে। ২০১৪ সালের প্রহসনের নির্বাচনে বিনা ভোটে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে, আর ২০১৮ সালের নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। এবারও (২০২৪) নির্বাচন আমলাতন্ত্র ও প্রশাসনের সহায়তায় কারচুপির মাধ্যমে করা হয়েছে। তবে কোনো কৌশলই শেখ হাসিনার সরকারকে রক্ষা করতে পারবে না।”
মোশারফ দাবি করেন, শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “ভারত বলছে, বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। অথচ বিএনপি’র নীতিতে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ আমাদের দলে যুক্ত হয়েছেন।”
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে প্রধান নির্বাচন কমিশনার: “আগামী নির্বাচন ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের মতো গ্রহণযোগ্য হবে”
এবিএম মোশারফ হোসেন প্রতিশ্রুতি দেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এবং তিনি নির্বাচিত হলে মহিপুর থানাকে উপজেলায় উন্নীত করবেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিপুর থানা বিএনপি’র সভাপতি মো. জলিল হাওলাদার এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহজাহান পারভেজ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান চুন্নু, কুয়াকাটা পৌর বিএনপি’র সভাপতি মো. আজিজ মুসুল্লি, কলাপাড়া পৌর বিএনপি’র সভাপতি গাজী মো. ফারুক, রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুর রহমান ফরাজী এবং দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
এই গণসংবর্ধনায় বিএনপি নেতারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন বক্তব্য দেন এবং আগামী নির্বাচনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের দাবি জানান।