নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে ডিসেম্বর নয়, বরং জুন-জুলাইয়েই জাতীয় নির্বাচন সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। তিনি বলেন, “এটি নিয়ে গড়িমসি করা হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জনগণের অনাস্থা সৃষ্টি হবে।”
শনিবার সকালে রাজশাহীর ভুবন মোহন পার্কে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে রাজশাহীতে আহত এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহীদ পরিবারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও দোয়ার আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন রিজভী।
তিনি বলেন, “আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে দেখি এবং এই সরকারই জাতীয় নির্বাচন দেবে। জনগণ ভোটের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। তাই জাতীয় নির্বাচনের আগে অন্য কোনো নির্বাচন নয়।”
আরও পড়ুনঃ সমুদ্রগর্ভে বিলীন হচ্ছে কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান
আন্তর্জাতিক রাজনীতি প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, “ভারত বাংলাদেশের বিষয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করছে। কিন্তু ভারত কেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এত বেশি মাথা ঘামাচ্ছে? শেখ হাসিনা সরকারের সময় ভারত বাংলাদেশের ওপর নানা অন্যায় চাপিয়ে দিয়েছে, যা হাসিনা বিনা প্রশ্নে মেনে নিয়েছেন। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বিশ্বের অন্যতম রক্তাক্ত সীমান্তে পরিণত হয়েছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যা করলেও শেখ হাসিনা সরকার সবসময় নীরব থেকেছে।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করলে এবং সরকারের সদিচ্ছা থাকলে যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব।”