spot_img

― Advertisement ―

spot_img

রামগঞ্জে ছাত্রদলের সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

মোঃ মাসুদ রানা মনি, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হামলার অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন একই ইউনিয়নের ৭...
প্রচ্ছদরাজনীতিমানুষ ভোট দেওয়ার সিস্টেমই ভুলে গেছে: আবুল খায়ের ভুঁইয়া

মানুষ ভোট দেওয়ার সিস্টেমই ভুলে গেছে: আবুল খায়ের ভুঁইয়া

মোঃ মাসুদ রানা মনি, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ গত ১৭ বছরে দেশের মানুষ ভোট দিতে না পারায় তারা এখন ভোট দেওয়ার পদ্ধতিই ভুলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া।

শনিবার (১০ মে) বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরপাতা মজিবুল হক একডিমেতে ওয়ার্ড পর্যায়ে বিএনপি নেতা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে বিএনপির সদস্যরা সরাসরি ভোট দেন।

আবুল খায়ের ভুঁইয়া বলেন, “মানুষ কাকে ভোট দেবে, কোথায় সিল মারবে—তা তারা জানে না। গ্রামের মানুষ ভোট দেওয়ার সিস্টেমই ভুলে গেছে।” তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল দেশে কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকা। এই ৩১ দফার অন্যতম লক্ষ্য হলো মানুষের মৌলিক অধিকার ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। সেই লক্ষ্যেই ওয়ার্ড পর্যায়ে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত করা হচ্ছে, যা বিএনপির গণতান্ত্রিক চর্চার প্রতিফলন।”

তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি দীর্ঘমেয়াদী নয়, বরং একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। যদিও সংবিধানে তিন মাসের কথা বলা আছে। যদি ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকার ব্যর্থ হয়, তাহলে সেটি আমাদের জন্যও ব্যর্থতা হয়ে দাঁড়াবে। এ অবস্থায় স্বৈরশাসনের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা সতর্কতার সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বলেছি—যেসব সংস্কারের মাধ্যমে দ্রুত নির্বাচন সম্ভব, সেগুলো করে সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে তাদের সরে যাওয়া উচিত।”

আরও পড়ুনঃ বিচার প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তিনি কিশোরগঞ্জ থেকে পালিয়ে গেছেন, এজন্য সেখানকার পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি পালিয়ে যায় অথচ তত্ত্বাবধায়ক সরকার তা জানত না—এটা দুর্ভাগ্যজনক। আগে বলা হয়েছিল, প্রায় ৬৩০ জন আশ্রয় চাইছে, এখন তাদেরও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ কলকাতা, কেউ লন্ডন, কেউ আমেরিকায় চলে গেছে। এদের দেশের সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার পেছনে আওয়ামী লীগের সাবেক স্বৈরাচারী সহযোগীদের হাত রয়েছে।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট হারুনুর রশিদ ব্যাপারী, রায়পুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জেডএম নাজমুল ইসলাম মিঠু, জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহবুব আলম মামুন, রায়পুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ও এমরান হোসেন প্রমুখ।