spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদরাজনীতিদেশের মানুষ ধানের শীষের পক্ষের শক্তিঃ আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

দেশের মানুষ ধানের শীষের পক্ষের শক্তিঃ আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের মানুষ এখন ধানের শীষের পক্ষে, জনগণ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়। তিনি বলেন, “আজকের এই জনসভা ও বিজয় মিছিল প্রমাণ করে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষে রয়েছে জনগণ। জনগণ গণতন্ত্র ও তাদের মালিকানা ফিরে পেতে প্রস্তুত।”

বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেলে নগরীর নিউ মার্কেট মোড়ে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী’ উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত কেন্দ্র ঘোষিত বিজয় র‍্যালি পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরুর নেতৃত্বে বিজয় র‍্যালিটি নিউ মার্কেট মোড় থেকে শুরু হয়ে কোতোয়ালি মোড়, লালদিঘী, বক্সি বিট, আন্দরকিল্লা, চেরাগি মোড় হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান এবং পরিচালনায় ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শওকত আজম খাজা।

প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুন অর রশীদ, ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলার সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী, তরিকুল ইসলাম তেনজিং এবং দক্ষিণ জেলা আহ্বায়ক আলহাজ্ব ইদ্রিস মিয়া।

সমাবেশে আমীর খসরু বলেন, “আমরা এখন নির্বাচনের পথে আছি। দেশের মানুষ ধানের শীষের অপেক্ষায় আছে। নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও জনগণের মালিকানা পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি। বিএনপির রাজনীতিতে বিশৃঙ্খলার জায়গা নেই। যারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে, চাঁদাবাজি বা দখলবাজির সঙ্গে যুক্ত থাকবে—তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্রের যাত্রাকে যারা বাধাগ্রস্ত করতে চাইবে, দেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে। শেখ হাসিনার মতো কেউ যেন জনগণকে বাইরে রেখে রাজনীতি করতে না পারে, সেজন্য সজাগ থাকতে হবে। জনগণের অধিকার রক্ষায়, অর্থনীতির গণতন্ত্রায়ন, ভোটাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আমরা এগিয়ে যাব।”

আরও পড়ুনঃ ইবিতে ‘জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত 

বিএনপির প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা এক কোটি চাকরির ব্যবস্থা করব, বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করব, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনব—এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নই হবে বিএনপির আগামী দিনের রূপরেখা।”

প্রধান বক্তা মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, “শেখ হাসিনা একজন গণহত্যাকারী। তাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে আদালতে দাঁড় করাতে হবে। দেশের মানুষ তার বিচার চায়। নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে, জনগণ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তারেক রহমানই হবেন আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী।”

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের দিন। লক্ষণ সেনের মতো সে পালিয়ে গিয়েছিল। দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র এখন বিএনপির হাতেই নিরাপদ। তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে বিএনপি বিজয়ী হবে ইনশাআল্লাহ।”

ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন, “তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা একটি সফল ও নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। জনগণের মেন্ডেট নিয়ে ধানের শীষই ক্ষমতায় আসবে। ইনশাআল্লাহ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন হবে।”