spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদরাজনীতিসরকার মুখে ইসরায়েলের বিরোধিতা করলেও রয়েছে সখ্যতা: চরমোনাই পীর

সরকার মুখে ইসরায়েলের বিরোধিতা করলেও রয়েছে সখ্যতা: চরমোনাই পীর

মোঃ আসিফুজ্জামান আসিফ,সিনিয়র ষ্টাফ রিপোর্টারঃ সরকার মুখে ইসরায়েলের বিরোধিতা করলেও তলে তলে দেশটির সঙ্গে সখ্যতা রয়েছে বলে দাবি করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার ফিলিস্তিনের জন্য অনেক মায়াকান্না করে। অথচ এরাই পাসপোর্ট থেকে এক্সেপ্ট ইসরাইল তুলে দিয়ে তলে তলে ইসরাইলের সাথে সখ্যতা করছে। এমন মোনাফেকি আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।’ সরকার ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ার ঘৃণ্য পাঁয়তারা শুরু করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।

শুক্রবার (৩১ মে) বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত গণমিছিল পূর্ব জমায়েতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চরমোনাই পীর বলেন, ‘যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সবসময় সোচ্চার থাকে। আজ ফিলিস্তিনের মা-বোনদের ওপর অমানুষিক অত্যাচার করা হচ্ছে। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হলো, সেই আমেরিকা মুখরোচকভাবে তাদের মানবতার গল্প শোনায়। জালেম ইসরায়েল যেভাবে আজ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে তার পক্ষে সাফাই গেয়ে যাচ্ছে আমেরিকা।’

আরও পড়ুনঃ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে জবির ইমামকে নামাজ পড়ানোর অনুমতি, তদন্ত চলবে

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে, অথচ তারাই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতি লালন করে। আওয়ামী সরকারের কাজ দেখে আমাদের হাসি আসে। যেসব সিনিয়র অফিসার তাদের ক্ষমতায় নিয়ে এসেছে, তাদের দুর্নীতির খবর সামনে আসার পর সরকার বিভিন্ন গল্পের মাধ্যমে জনগণকে বুঝ দিয়ে রাখছে। অথচ সরকার কি জানে না যারা দুর্নীতিবাজ তারা সবসময়ই দুর্নীতিবাজ।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানি, নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

আরও ছিলেন, সহকারী মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ছাত্রনেতা নূরুল বশর আজিজী, ডা. শহিদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ মুফতি ফরিদুল ইসলাম, আলামিন সোহাগ, উত্তর সভাপতি হাফিজুল হক ফাইয়াজ প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে একটি গণমিছিল বায়তুল মোকাররম থেকে পল্টন মোড়, বিজয়নগর নাইঙ্গেল হয়ে নয়াপল্টন ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলায় গিয়ে মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।