spot_img

― Advertisement ―

spot_img

কুবি রোটার‍্যাক্ট ক্লাবের নেতৃত্বে তানভীর – আল আমিন

কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) রোটার‍্যাক্ট ক্লাবের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২৫-২৬ মেয়াদের এই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ফার্মেসি বিভাগের ২০২০-২১...
প্রচ্ছদরাজনীতিহাসিনার হয়ে কাজ করা সবাইকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে-মির্জা ফখরুল

হাসিনার হয়ে কাজ করা সবাইকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে-মির্জা ফখরুল

সোমনাথ সেন , চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি: চক্রান্তকারীরা সরকারের মধ্যে বসে আছে দাবি করে তাদেরকে অবিলম্বে বের করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন। দ্রুততার সঙ্গে আরও পদক্ষেপ নিতে হবে। যেসব চক্রান্তকারীরা সরকারের মধ্যে বসে আছে, তাদেরকে অবিলম্বে বের করে দিতে হবে। তারা চিহ্নিত সন্ত্রাসী, তারা কাজ করেছে খুনি শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে। তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে’।

বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। ‘পলাতক খুনি শেখ হাসিনাসহ তাঁর দোসরদের যথাযথ বিচারের দাবিতে’ এ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।

সরকারকে যৌক্তিক সময় দেওয়ার কথা আবারও জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা ও তাঁর দোসররা সারা দেশে অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে গেছেন। তাদের বিচার চাই। তাদের বিচার করতে হবে আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী আইনে। কারণ তারা গনহত্যা চালিয়েছে। যারা অত্যাচার করেছে, নির্যাতন করেছে, টাকা পাচার করেছে তাদের বিচার করতে হবে। যাদের ওপর জনগণ আস্থা দিয়েছে, একটা স্বস্তি ফিরিয়ে এনে নির্বাচন দেবে। একটা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন দেবে। এই সরকারের কাছে বিচার চাই। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের ভোট দিয়ে একটা সরকার গঠন করবে। আমরাও সেটা চাই। আমরা চাই নির্বাচনের মধ্য দিয়েই সরকার পরিবর্তন হোক। আমরা যৌক্তিক সময়ও এই সরকারকে দিতে চাই।

আরও পড়ুনঃ স্বৈরচারের মদদপুষ্ঠ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে অবিলম্বে অপসারণের দাবি

অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এমন কেউ যেন বলতে না পারে আমরা খারাপ কাজ করেছি। সবাই একত্রিত হবেন। ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। তাদের সব চক্রান্তকে রুখে দেবেন। এই সরকারকে সাহায্য করবেন। এটা গলঅভ্যুত্থানের সরকার, আন্দোলনের ফসল। আমরা তাদেরকে সেই সহযোগিতা দেব, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা গণতন্ত্রের পক্ষে থাকবে, গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া মুক্ত হয়েছেন, কিন্তু তারেক রহমান এখনো দেশে ফিরে আসতে পারেননি। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। হাজার হাজার মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। কোনো মামলা থাকবে না। ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম করে হাসিনাকে তাড়িয়েছি, ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম করে এদেশে সত্যিকার অর্থে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা আনব।

তিনি বলেন, একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই। সেই গণতন্ত্রের জন্য আমরা লড়াই করছি। আমরা লড়াই করছি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে। নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। এখন নতুন একটা ধুয়া তুলেছে সেই ষড়যন্ত্রকারীরা যে মাইনরিটির ওপর অত্যাচার করছে। বাংলাদেশে কোনো মাইনরিটি নেই। বাংলাদেশের সবাই বাংলাদেশি নাগরিক।

মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই মিলে একসঙ্গে এদেশ স্বাধীন করেছি। সেই সূত্রে সবাই এদেশের নগরিক। কিন্তু তাদেরকে ক্ষেপিয়ে ঢাল বানিয়ে আরেকটা কৌশল অবিষ্কার করে কীভাবে অস্থতিশীলতা তৈরি করা যায়, সেই চেষ্টা আওয়ামী লীগ করছে। তাদের মূল টার্গেট হচ্ছে দেশে অস্থিতিশীল তৈরি করে আবার যদি ওই ভারতের সাহায্য নিয়ে ঢুকে পড়া যায়, তাহলে হয়তো তারা রক্ষা পাবে