শেখ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সাভার প্রতিনিধিঃ সাভার রেডিও কলোনি স্ট্যান্ড থেকে শহীদ ইয়ামিন চত্বর হয়ে উপজেলা পর্যন্ত প্রায় দু’ কিলোমিটার সড়কের দু’ পাশে কংক্রিটের উঁচু দেয়াল(সড়ক বিভক্তি)। লোকাল রুটে বাস না ঢুকায় যাত্রীদের নামতে হচ্ছে ঢাকা‑আরিচা মহাসড়কের মাঝখানে; পরে দেয়াল বেয়ে উঠা‑নামা করে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে—প্রতিদিনই ঘটছে ঝুঁকিপূর্ণ এই দৃশ্য।
রোববার (১৮ মে) বেলা ১১টার দিকে সাভার নিউ মার্কেট সংলগ্ন ঢাকা আরিচা মহাসড়ক পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, সিআরপি, নিউ মার্কেট, রাজাসন, নামাবাজার, এনাম মেডিকেল ও উপজেলা মুখী যাত্রীদের সবাইকে বাস‑ড্রাইভাররা মহাসড়কের মাঝখানে নামিয়ে দিচ্ছেন। দেয়াল ডিঙিয়ে রাস্তা পার হওয়া বৃদ্ধ, নারী ও শিশুদের জন্য নিত্যদিনের ভোগান্তি।
ধামরাই থেকে কেনাকাটায় আসা রহিম বাদশা ক্ষোভ উগরে দেন—“ছোট বাচ্চা আর স্ত্রীকে নিয়ে এই দেয়াল পেরিয়ে কীভাবে লোকাল রোডে যাব?”
লোকাল রুটে চলা ‘বৈশাখী’ পরিবহনের চালক আব্দুর রহীম জানান, “যত্রতত্র সিএনজি‑অটোরিকশা, অবৈধ হকার আর কাঁচাবাজারের কারণে সাভার স্ট্যান্ডে স্থায়ী জট লেগে থাকে। তাই বেশির ভাগ বাস হাইওয়েতেই যাত্রী উঠানামা করায়।”
স্কুল‑কলেজগামী শিক্ষার্থী, শিশু‑সহযোগী মা ও বয়স্ক নাগরিকদের জন্য দেয়াল টপকে চলাফেরা করা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। মহাসড়কে চলমান দ্রুতগামী বাস‑ট্রাক, আর লোকাল রোডে ঢুকে পড়া সিএনজি‑অটো—কখন, কোন দিক থেকে ধেয়ে আসে বলা যায় না; প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
মডেল মসজিদ থেকে কোরেশী মার্কেট পর্যন্ত গড়ে ওঠা দূরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলো যাত্রী উঠানামায় কখনো হাইওয়ে, কখনো লোকাল রুট ব্যবহার করে—ফলে যানজট আরো বেড়ে যায়। পাশাপাশি রয়েছে ভাড়ায় চালিত প্রাইভেট‑কার (হাইয়েচ) স্ট্যান্ডও।
আরও পড়ুনঃ সচিবালয় ভাতা ও রেশনিং দাবিতে অর্থ উপদেষ্টার দপ্তরে কর্মকর্তাদের অবস্থান
পরিবহন‑বিশেষজ্ঞদের মতে, লোকাল বাসগুলোকে বাধ্যতামূলকভাবে লোকাল রুট ব্যবহার করাতে পারলে দ্রুতভোগ কমবে। একই সঙ্গে সিএনজি‑অটোর নিবন্ধনহীন স্ট্যান্ড ও ফুটপাত‑বাজার উচ্ছেদ করলে যানজট হ্রাস পাবে। কিন্তু সাভার হাইওয়ে পুলিশ এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে নীরব বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুবকর সরকারের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় ও মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করা হলেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে লোকাল রুট সচল করার দাবি ভুক্তভোগী যাত্রী ও সাভারের সচেতন নাগরিকদের।