
রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের চোটে আবারও চেন্নাই সুপার কিংসের নেতৃত্বের ভার কাঁধে ওঠে অভিজ্ঞ মহেন্দ্র সিং ধোনির। কিন্তু অধিনায়কত্ব ফিরে পাওয়ার দিনেই মুখোমুখি হতে হলো এক লজ্জাজনক পরাজয়ের, যা চেন্নাইয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হার হিসেবে রেকর্ড হয়ে থাকল।
ঘরের মাঠ চিপকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরে যায় চেন্নাই সুপার কিংস। টার্গেট ছিল মাত্র ১০৪ রান, যা কলকাতা টপকে যায় মাত্র ১০.১ ওভারে—অর্থাৎ ৫৯ বল হাতে রেখেই। বলের হিসেবে এটি চেন্নাইয়ের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যবধানে পরাজয়। একই সঙ্গে দলটি প্রথমবারের মতো টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে বসল আইপিএলে।
কলকাতার হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করেন কুইন্টন ডি কক ও সুনিল নারিন। ডি কক করেন ১৬ বলে ২৩ রান, আর নারিন ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৮ বলে ৪৪ রান করে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে দেন। ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ৫টি ছক্কার মার। বাকিটা সম্পন্ন করেন আজিঙ্কা রাহানে (১৭ বলে ২০) ও রিঙ্কু সিং (১২ বলে ১৫)।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাই সুপার কিংসের ব্যাটিং ছিল বিপর্যস্ত। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলটি ২ উইকেটে ৫৯ রান থেকে ধসে পড়ে ৯ উইকেটে ১০৩ রানে। বিজয় শঙ্কর ২১ বলে ২৯ এবং রাহুল ত্রিপাঠি ২২ বলে ১৬ রান করলেও ইনিংস টানতে পারেননি। ব্যর্থতার তালিকায় ছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন (১), রবীন্দ্র জাদেজা (০) এবং অধিনায়ক ধোনি নিজেও (১), যিনি নেমেছিলেন নয় নম্বরে।
শেষদিকে শিভাম দুবে কিছুটা চেষ্টা করেন। তার ২৯ বলে ৩১ রানের অপরাজিত ইনিংসে অলআউট হওয়ার লজ্জা থেকে রক্ষা পায় চেন্নাই।
আরও পড়ুনঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাবা-মেয়েকে অপহরণ ও নির্যাতনের দায়ে চাচা-ভাতিজা কারাগারে
বলের হিসেবে চেন্নাইয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পরাজয়। আইপিএলে প্রথমবার টানা পাঁচ ম্যাচে হার,ঘরের মাঠে টানা তিন ম্যাচে পরাজয়ের নতুন রেকর্ড।
অন্যদিকে এই জয়ে ছয় ম্যাচে তিনটি জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তিন নম্বরে উঠে এসেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
চেন্নাইয়ের কাছে এই ম্যাচ শুধুই হার নয়, বরং আত্মবিশ্বাসে বড় ধাক্কা। সামনে ঘুরে দাঁড়াতে হলে অধিনায়ক ধোনিকে আবার সেই পুরনো ম্যাজিকটাই ফিরিয়ে আনতে হবে।