spot_img

― Advertisement ―

spot_img

খুবির ভর্তি পরীক্ষা নিজস্ব পদ্ধতিতে, তারিখ নিয়ে সিদ্ধান্ত এই সপ্তাহে

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সময় ও তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবারও তারা নিজস্ব পদ্ধতিতেই ভর্তি পরীক্ষা...
প্রচ্ছদখেলাধুলাফুটবলনারী এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের সমীকরণ: ইতিহাস গড়ার পথে এক ধাপ...

নারী এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের সমীকরণ: ইতিহাস গড়ার পথে এক ধাপ দূরে

এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিতে এখন বাংলাদেশের সমীকরণে অপেক্ষা করছে শেষ একটি কঠিন ম্যাচ। তবে গ্রুপ-পর্যায়ের চিত্র বিশ্লেষণ করলে বাংলাদেশের সম্ভাবনাই সবচেয়ে উজ্জ্বল। মোট আটটি গ্রুপের মধ্যে সেরা তিনটি রানার্সআপ দল চূড়ান্ত পর্বে সুযোগ পাবে। এর সঙ্গে স্ব স্ব গ্রুপ চ্যাম্পিয়নরাও জায়গা করে নেবে মূল পর্বে। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক প্রতিটি গ্রুপের বর্তমান অবস্থা ও বাংলাদেশের অবস্থান কোথায় দাঁড়িয়ে।

গ্রুপ-এ:
এই গ্রুপে ২য় স্থানে থাকা নেপাল খেলবে উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে, যেখানে তাদের বড় ব্যবধানে হারার সম্ভাবনাই বেশি। বর্তমানে নেপালের গোল ব্যবধান মাত্র +১। ফলে এই গ্রুপ থেকে বাংলাদেশের জন্য কোনো হুমকি নেই বললেই চলে।

গ্রুপ-বি:
এখানে কিরগিজস্তান রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে এবং তাদের শেষ ম্যাচ ভিয়েতনামের বিপক্ষে। শক্তিশালী ভিয়েতনামের কাছে হারার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তৃতীয় স্থানে থাকা হংকংয়ের গোল ব্যবধান ইতিমধ্যে -৫। সুতরাং এই গ্রুপেও বাংলাদেশের জন্য তেমন শঙ্কা নেই।

গ্রুপ-সি:
অস্ট্রেলিয়া গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে। তবে দ্বিতীয়স্থানে থাকা চাইনিজ তাইপে হতে পারে বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাব্য হুমকি। কারণ তারা তাজিকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিততে পারে এবং তাদের বর্তমান গোল ব্যবধান +৪। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে না হারলে তারাও বেস্ট থ্রি রানার্সআপ তালিকায় উঠে আসতে পারে।

গ্রুপ-ডি:
ইন্দোনেশিয়া পরপর দুটি ম্যাচ ড্র করায় কার্যত ছিটকে গেছে। ভারত ও মিয়ানমারের মধ্যকার শেষ ম্যাচে যে দল জিতবে, সে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে। ড্র হলে ভারতের পয়েন্ট হবে ৫ এবং তারা কোয়ালিফাই করবে, কিন্তু মিয়ানমারের ৫ পয়েন্টে সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাবে। কারণ বেস্ট রানার্সআপ হতে হলে কমপক্ষে ৬ পয়েন্ট দরকার।

গ্রুপ-ই:
চীন সরাসরি কোয়ালিফাই করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। দ্বিতীয়স্থানে থাকা লেবাননের পয়েন্ট ৬ এবং গোল ব্যবধান +২। তবে তাদের শেষ ম্যাচ চীনের বিপক্ষে, যেখানে তাদের গোল ব্যবধান কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং এখানেও বাংলাদেশের জন্য কোনো বড় হুমকি নেই।

আরও পড়ুনঃ সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে সিআরএ’র মানববন্ধন

গ্রুপ-এফ:
ইরান দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এবং তাদের গোল ব্যবধান +৫। তবে শেষ ম্যাচে তারা মুখোমুখি হবে শক্তিশালী জাপানের, যেখানে বড় ব্যবধানে হারার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে এই গ্রুপ থেকেও বাংলাদেশের ওপর চাপ বাড়বে না বলেই মনে হচ্ছে।

গ্রুপ-এইচ:
গ্রুপের শীর্ষে থাকা জর্ডানের গোল ব্যবধান +১১, কিন্তু উজবেকিস্তান মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছে এবং তুলনামূলকভাবে অনেক শক্তিশালী। শেষ ম্যাচে তারা বড় ব্যবধানে জয় পেতে পারে, কিন্তু এখনও বাংলাদেশের তুলনায় পিছিয়ে থাকবে।

গ্রুপ-জি (বাংলাদেশের গ্রুপ):
বাংলাদেশ বর্তমানে গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে +১০ গোল ব্যবধানে, যেখানে দক্ষিণ কোরিয়ার গোল ব্যবধানও +১০, কিন্তু বাংলাদেশ একটি বেশি গোল করায় শীর্ষে রয়েছে। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ যদি স্বাভাবিক ব্যবধানে (১-২ গোল) হেরে যায়, তাহলেও রানার্সআপ হিসেবে কোয়ালিফাই করার সম্ভাবনা প্রবল। তবে ৭-৮ গোলের ব্যবধানে হারলে সমস্যায় পড়তে পারে। তবুও বেস্ট রানার্সআপ হিসেবেও বাংলাদেশের অবস্থান এখন এক নম্বরে।

সবকিছু মিলিয়ে বলা যায়, বাংলাদেশের সামনে এখন ইতিহাস গড়ার সুবর্ণ সুযোগ। শেষ ম্যাচে বড় ধরণের বিপর্যয় না ঘটলে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এএফসি এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিতে যাচ্ছে। সারা দেশের ফুটবলপ্রেমীদের এখন একটাই প্রার্থনা—বাংলাদেশ যেন স্বপ্ন পূরণে সফল হয়।