রিয়াল মাদ্রিদের গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন এর অসাধারণ পারফরম্যান্সে সিটিকে হারিয়ে শেষ চারে মাদ্রিদ। মূল ম্যাচের পর টাইব্রেকারেও তার বীরত্বপূর্ণ পারফরম্যান্স ধরে রাখে, পেনাল্টিতে রিয়াল মাদ্রিদ এর জয় ৪-৩ গোলে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে উঠার শেষ সুযোগের মতো বড় মঞ্চে বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন হুলিয়ান আলভারেজের কাঁধে গুরুদায়িত্ব। লুনিনের বিপক্ষে প্রথম শটটা নিতে হবে তাকে, জালে বল ঢুকাতে কোনো ভুল করলেন না তিনি। কিন্তু অন্যদিকে রিয়ালের হয়ে লুকা মদ্রিচ ব্যর্থ, তার শট ফিরিয়ে দেন সিটি গোলরক্ষক এডারসন সঙ্কা দানা বাধে রিয়াল সমর্থকদের মনে।
সিটির হয়ে দ্বিতীয় শট নিতে এগিয়ে যান সিলভা। পেনানকা মারতে গিয়ে সোজা লুনিনের হাতে শট নেন তিনি, জায়গায় দাঁড়িয়েই তা ঠেকিয়ে দেন রিয়াল গোলরক্ষক। অন্যটি সিলভার মতো সহজ শট নেননি কোভাসিচ। তার শটটা গিয়েছিল লুনিনের ডানে কোনাকুনি। কিন্তু ঝাঁপিয়ে পড়ে তা ফিরিয়ে দেন তিনি।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল-ম্যান সিটির ড্র
এরপর সিটি আর কোনো ভুল করেনি, ফিল ফোডেন ও এডারসন ঠিকই জালের দেখা পান। ভুল করেনি রিয়ালও, জুড বেলিংহ্যাম, লুকাস ভাসকেজ ও নাচোর পর জাল খুঁজে পান টনি রুডিগারও। তাতে মূল ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর পেনাল্টিতে ৪-৩ গোলে জিতে সেমিফাইনালে উঠে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
১ম লেগে ঘরের মাঠে ৩-৩ গোলে ড্র করা রিয়াল মাদ্রিদ এর আগে সিটির ডেরায় লিড পেয়ে যায় ম্যাচের ১২ মিনিটে। এডারসনের কাছ থেকে ফিরে আসা বলে টাচ করে জালের দেখা পেয়ে যান রদ্রিগো। এক গোল লিড নিয়ে ডিফেন্সিভ খেলা শুরু করে রিয়াল, সেই সুযোগে চাপ তৈরি করে স্বাগতিকরা। কিন্তু প্রথমার্ধে রিয়েলের জমাট রক্ষণ ভাংতে পারেনি স্বাগতিকরা এতেই ১-০তে লিড নিয়ে বিরতিতে যায় রিয়াল।
ইতিহাদে রদ্রিগোর গোলটা বাদ দিলে খেলেছে কেবল ম্যানচেস্টারের ক্লাবটিই। পুরো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদকে সব সময়ই চাপে রেখেছে তারা, বেশি চাপ সইতে হয়েছে আন্দ্রে লুনিনকেই। তার বিপক্ষে একের পর এক আক্রমণ সাজানো সিটি দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফেরে কেভিন ডি ব্রুইনের গোলে। জেরেমি ডকু পাস দেন ডি বক্সের ভেতরে। রুডিগার বলটা ঠিকঠাক ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন। সেই বল পেয়ে যান ডি ব্রুইন। লুনিনের মাথার উপর দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
৯০ মিনিট শেষে ম্যাচের স্কোরলাইন ছিল ১-১ থাকায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের খেলায় খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। এ সময় প্রতিপক্ষ শিবিরে চাপ তৈরি করে তারা। পাল্টা জবাব দিচ্ছিলেন সিটির প্লেয়াররাও। কিন্তু গোলের দেখা পাচ্ছিল না কেউই। ফলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচের ভাগ্য।
সেমিতে রিয়াল মাদ্রিদ এর প্রতিপক্ষ বায়ার্ন মিউনিখ এর সাথে ৩০ এপ্রিল প্রথম লেগে মুখোমুখি হবে বায়ার্নের ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ এয়ারেনাতে এবং ২য় লেগ হবে ৭ মে রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে।