নেপালের কাঠমান্ডুতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলে ভারতকে ৩-১ গোলে হারানোর পর আকাশেই ওড়ার কথা বাংলাদেশের। তবে আপাতত মাটিতেই পা রাখছে বাংলার মেয়েরা। টানা দুই ম্যাচ জিতে ফাইনালে নাম লেখানোর পর এখন শিরোপাতেই চোখ মেয়েদের।
কোচ সাইফুল বারী সেটিই দলকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘এমন ম্যাচ জেতার পর উদযাপনই স্বাভাজাপ, ওদের বয়সটাও দেখতে হবে। ষোলো বছরের কিশোরীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস থাকবেই। তবে ওদের বলে দিয়েছি, আসল লড়াই সামনে। ফাইনালে উঠে গেছি, এখন শিরোপা জিততেই হবে। আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েই উদ্যাপন করব।’
এই টুর্নামেন্টে অনভিজ্ঞ একটি দল নিয়েই গেছে বাংলাদেশ। এই দলের অনেকেই এই প্রথম বিমানে চেপে দেশের বাইরে গেছে। কিন্তু প্রতিভার কমতি যে এ দলে নেই, সেটি কোচ বলেছিলেন নেপাল যাওয়ার আগেই। আজ সেই অনভিজ্ঞরাই উড়িয়ে দিল ভারতকে।
দুর্দান্ত জয়ের পর কোচের কণ্ঠে উচ্ছ্বাস, ‘আমি সব কৃতিত্ব দেব দলের মেয়েদের। এত কম বয়সে ওরা যেভাবে পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলেছে, সেটি দুর্দান্ত। তারা তাদের সর্বস্ব উজাড় করে খেলেছে। আমরা যখন অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে খেলেছি, তখন এতটা সিরিয়াস খেলা খেলিনি। এই বয়সে ওদের পারফরম্যান্স সত্যিই দুর্দান্ত। আমি ওদের অভিনন্দন জানাই।’
এই প্রথমবারের মতো সাফে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ের টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে অনূর্ধ্ব-১৫ টুর্নামেন্ট হয়েছে, ২০১৭ সালে ঘরের মাঠে যে শিরোপা নিজেদের করেছিল বাংলাদেশ এই ভারতকে হারিয়েই। এরপর বাংলাদেশ আর অনূর্ধ্ব-১৫ টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে পারেনি। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে শিরোপা জিতেছে ভারত।
আজ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটাকে নিজের আপাত ‘অনভিজ্ঞ’ দলটির সামর্থ্য বুঝে নেওয়ার মঞ্চ হিসেবেই নিয়েছিলেন কোচ সাইফুল বারী। আজ দল সেই ম্যাচেই তাঁকে উপহার দিয়েছে দারুণ এক জয়, যদিও ম্যাচটা সহজ ছিল না। কিন্তু ওই যে দলের খেলোয়াড়েরা পরিস্থিতির চাহিদা অনুযায়ী নিজেদের মেলে ধরেই তুলে এনেছে ফাইনালের আগে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেওয়া জয়টি।
কোচের কথা, ‘ম্যাচটা ছিল ভারতের শক্তি ও সামর্থ্য বোঝার। কঠিন ম্যাচ ছিল। কিন্তু আমাদের মেয়েরা লড়াই করে গেছে। ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত আমরা জিতলেও সমতা ফেরানোর আগে ও পরে ভারত আমাদের বেশ চাপে রেখেছিল। শেষ পর্যন্ত সেই চাপ সামলেই আমরা জিতেছি। তবে আমাদের আসল লড়াই ফাইনালে।’