spot_img

― Advertisement ―

spot_img

জবি ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণায় নিরাপত্তাহীনতায় শিক্ষার্থীরা, দুই সংগঠনের নিন্দা

ওমর ফারুক জিলন, জবি প্রতিনিধিঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ছাত্রদলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয়...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসজবিতে মঞ্চস্থ হলো 'ছায়াহীন কায়া'

জবিতে মঞ্চস্থ হলো ‘ছায়াহীন কায়া’

ওমর ফারুক জিলন, জবি প্রতিনিধিঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) মঞ্চস্থ হলো জ্যাঁ পল সার্ত্র রচিত ‘Men without shadows’ অবলম্বনে ‘ছায়াহীন কায়া’ নাটকটি। 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের স্টুডিও থিয়েটার হলে পরীক্ষা প্রযোজনা হিসেবে নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। নাটকটির পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ছিলেন বিভাগের শিক্ষার্থী তৌফিক মেসবাহ, সাগর তরফদার, অনন্যা গোয়ালা ও কৃষ্ণা মল্লিক কেয়া। 

সার্ত্রের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী নাটকটিকে বর্তমান বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া অভ্যুত্থানের সাথে সম্পর্ক সৃষ্টি করে মঞ্চস্থ করা হয়। এতে রিমান্ডে নির্যাতন ও আয়নাঘরে বন্দীদশার অসহায়ত্ব প্রতিকীরূপে তুলে ধরা হয়েছে।

এতে অভিনয় করেছেন বিভাগের শিক্ষার্থী হাবিবা আক্তার হিয়া, অথৈ দাস মেঘলা, তৌফিক মেসবাহ, মুক্তাদিরুল ইসলাম সিফাত, সালমাম সরকার দিবস, স্পর্শ বনিক, মুগ্ধ আনন, মোঃ আল ইমরান, জান্নাতুল ফেরদৌস নাদিয়া ও সাগর তরফদার। কোরিওগ্রাফিতে ছিলেন দিবারতী ঐশী, ব্রততী দত্ত জয়া, শ্রাবন্তী রয় কনা, নাফিসা তাবাসসুম পলা, নন্দিনী বিশ্বাস আঁচল, শ্বেতা রায় তৃণা।

এছাড়া মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন সাগর তরফদার, মঞ্চ নির্মাণে সিফাত, আলোক পরিকল্পনায় তৌফিক মেসবাহ, আলোক প্রক্ষেপণে খুশি রায়, আবহ সঙ্গীত পরিকল্পনায় জাওয়াদ প্রান্ত ও স্বাগত চক্রবর্তী, আবহ সঙ্গীত পরিচালনায় পলক সাহা, কোরিওগ্রাফি নির্দেশনায় অনন্যা গোয়ালা, পোশাক ও মঞ্চ সামগ্রীতে কৃষ্ণা মল্লিক কেয়া।

আরও পড়ুনঃ তিস্তা নদীতে বাঁধ দিয়ে ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন  করেছে: জবি শিক্ষক

নাটকে দেখা যায় প্রতিরোধ আন্দোলনের একদল সংগ্রামী বন্দী হয়েছে। তাদের মধ্যে একটি মেয়েও আছে। সামরিক কর্মচারীরা তাদের কাছে তাদের দলপতির খবর জানতে চায়। একে একে সবাইকে ভয়াবহ নির্যাতন করা হয়। দলের সবচেয়ে ছোট ছেলেটি ভয় পেয়ে যায় এবং সকল তথ্য ফাস করে দিতে চায়। সে কারণে সকলের প্রিয় হওয়া সত্ত্বেও তার আপন বোনের ইশারায় তাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়।

এ নাটকে সমাজতত্ত্ব ও রাজনৈতিক আদর্শের দিক থেকে সার্ত্রে বলতে চেয়েছেন নিজেদের স্বার্থ ভুলে গিয়ে এবং আত্মপক্ষের সমর্থনের চেষ্টা না করে উচিৎ সামাজিক আদর্শের কাছে আত্মনিয়োগ করা।