spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ইবি ছাত্রশিবিরের মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে অর্ধশতাধিক ইবিয়ানের মিলনমেলা

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) হৃদয়গ্রাহী এক মিলনমেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা।ঈদের...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসস্থায়ী বরখাস্তের দাবিতে ইবি শিক্ষকের কুশপুত্তলিকা দাহ

স্থায়ী বরখাস্তের দাবিতে ইবি শিক্ষকের কুশপুত্তলিকা দাহ

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আজীবন বরখাস্তের দাবিতে এই পুত্তলিকা পোড়ানো হয়।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা হাফিজের ছবি সম্বলিত কুশপুত্তলিকা হাতে মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। পরে প্রধান ফটকে গিয়ে ফটকের সাথে কুশপুত্তলিকা ঝুলিয়ে তাতে জুতা ও থুথু নিক্ষেপ করা হয়। জুতা নিক্ষেপ শেষে দুপুর ২টার দিকে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন তারা।

এসময় শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে ‘বহিষ্কার বহিষ্কার, হাফিজ বহিষ্কার’, ‘হাফিজ হটাও, ডিএস বাঁচাও’, ‘হাফিজের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ‘দফা এক দাবি এক, হাফিজের পদত্যাগ’, ‘হাফিজের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘ ‘হাফিজের দুই গালে,জুতা মারো তালে তালে’, ‘সমকামী শিক্ষক, চাই না চাই না’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ওই শিক্ষক জুলাই আন্দোলন নিয়ে পোস্ট করায় ইনবক্সে হুমকি, শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা। কথার অবাধ্য হলে ইন্টার্নাল নম্বর কমিয়ে দেওয়া। শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ, শিক্ষার্থীদের ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে মারার হুমকি, ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয়, অন্যান্য শিক্ষকদের শরণাপন্ন হতে না দেওয়া। অন্যান্য শিক্ষকদের নাম নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে অপমান, অপদস্থ এবং চাপ দেওয়া। শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগের দোসর দিয়ে জোরপূর্বক হল থেকে নামিয়ে দেওয়া। মেয়েদের সকলের সামনে জামা কাপড় নিয়ে কথা বলা, নর্তকী, বাজারের মেয়ে, ইত্যাদি বলে গালিগালাজ করাসহ নানা অভিযোগ।

আরও পড়ুনঃ রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ

জানা যায়, গত ৭ অক্টোবর এসব অভিযোগ তুলে ধরে তার অপসারণের দাবিতে প্রধান ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের কাছে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করা হলে অভিযোগ তদন্তে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরিফকে আহবায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষাৎকার দিতে আজ মঙ্গলবার হাফিজুল ইসলামের ক্যাম্পাসে আসার কথা রয়েছে। এর প্রেক্ষিতেই শিক্ষার্থীরা এসব কর্মসূচি পালন করে।

বিভাগটির শিক্ষার্থীরা বলেন, উপাচার্যের সাথে আমাদের একটি কনফারেন্স হয়। তিনি আমাদের বক্তব্য শোনার পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। গতকাল তদন্ত কমিটির কাছে আমরা আমাদের অভিযোগগুলো জমা দিয়েছি। তদন্তের জন্য হাফিজের আজকে ক্যাম্পাসে আসার কথা, সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আজকের কর্মসূচি পালন করেছি। আমরা তাকে বিভাগ থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তার স্থায়ী বহিষ্কার চাই। যদি তাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা না হয়, আমাদের আন্দোলন-কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে চলবে।