spot_img

― Advertisement ―

spot_img

রাজশাহী মহানগর শিবিরের নতুন নেতৃত্বে শামীম-ইমরান

মোঃ আব্দুল আলিম, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে শামীম হোসেন এবং সেক্রেটারি হিসেবে ইমরান নাজির দায়িত্ব পেয়েছেন।মঙ্গলবার...
প্রচ্ছদসারা বাংলাস্বল্পমূল্যে সেবার প্রতিশ্রুতি, অতিরিক্ত ব্যয়ে জনরোষ

স্বল্পমূল্যে সেবার প্রতিশ্রুতি, অতিরিক্ত ব্যয়ে জনরোষ

মোঃ আব্দুল আলিম, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ কথা ছিলো, স্বল্পমূল্যে মিলবে উন্নত সেবা। সে স্বপ্নেই বিভোর হয়ে ৩১ দশমিক ৪৫ শতাংশ মূল্যবান জমি দান করেছিলেন প্রতিষ্ঠাতা ডা. আব্দুল খালেক। সরকারও ৬০ শতাংশ বিনিয়োগ করেছে সেই উদ্দেশ্যেই। প্রতিবছর দিচেছ কোটি টাকার অনুদান। কিন্তু সেবার সে স্বপ্ন এখন পদে পদে ম্লান হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির নীতি নির্ধারণী জায়গায় কৌশলে ত্যাগিদের সরিয়ে দখল করেছে স্বার্থান্বেষী চক্র! যারা প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য-উদ্দেশ্যই বদলে ফেলার প্রচেষ্টায় নেমেছেন। এতে প্রতিষ্ঠানটি গড়তে যাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টা, তাদের চোখে ঝরছে পানি; গলাকাটা বিলের ফাঁদে সর্বশান্ত হচ্ছে রোগীরাও।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, শুধু জরুরি বিভাগে একদিন থাকতেই সাধারণ বেডের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ১২ শো টাকা। যা লাভজনক বেসরকারি ক্লিনিকের ভাড়ার চেয়ে দু’তিনগুন বেশি। আর সরকারি হাসপাতালে ফ্রিতেই থাকার সুযোগ মেলে। কেবিনের ভাড়াও ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে।  

বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল টেস্টের মূল্যও ধরা হচ্ছে অনেক বেশি। এতে রোগী ভর্তি হলেই সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকার উপরে বিল আসছে।

রাজশাহীর একটি সনামধন্য বেসরকারি ক্লিনিকের খরচের সঙ্গে হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের খরচের তুলনা করে দেখা যায়, লাভজনক ওই বেসরকারি ক্লিনিকের চেয়ে কয়েকগুন বেশি খরচ নিচ্ছে হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ইকো কার্ডিগ্রাম কলার ডপলার করতে ওই ক্লিনিক নিচ্ছে ১ হাজার ৯০০ টাকার মতো। সেখানে হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল নিচ্ছে ২ হাজার ৩৪০ টাকা, ইকো ২ ডি করতে ওই ক্লিনিক নিচ্ছে ১ হাজার ১২৫ টাকা, সেখানে হার্ট ফাউন্ডেশন নিচ্ছে ১ হাজার ৩৪০ টাকা, ইটিটি করতে হার্ট ফাউন্ডেশন নিচ্ছে ২ হাজার ৩৪০ টাকা, ট্রপোনিন করতে ওই ক্লিনিক নিচ্ছে ৯০০ টাকা। আর হার্ট ফাউন্ডেশন নিচ্ছে ৯৭৭ টাকা। এনটি- প্রো-বিএনপি করতে হার্ট ফাউন্ডেশন নিচ্ছে ২ হাজার ৫৫০ টাকা, ইসিজি করতে ওই ক্লিনিক নিচ্ছে ২২৫ টাকা, সেখানে হার্ট ফাউন্ডেশন নিচ্ছে ৩০০ টাকা। এছাড়া প্রতিঘণ্টায় রোগী মনিটরে ৮০ টাকা বিল নিচ্ছে হার্ট ফাউন্ডেশন, যা ওই ক্লিনিক ফ্রিতেই দিয়ে থাকে। এছাড়া অক্সিজেন প্রতিঘণ্টায় বিল করা হচ্ছে ১০০ টাকা। ওই ক্লিনিক ৭৫ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা নিয়ে থাকে। এছাড়া সাধারণ বেডে থাকতে ওই ক্লিনিক রোগীর থেকে নিচ্ছে প্রতিদিন মাত্র ৪০০ টাকা।

তথ্য বলছে, হার্ট ফাউন্ডেশনে বর্হি-বিভাগে রোগী দেখতে ১ হাজার টাকা ভিজিট নেন রামেক হাসপাতালের হৃদরোগ ও মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. রইস উদ্দীন। এছাড়া, অধ্যাপক পদমর্যাদার অন্য ডাক্তাররা নিচ্ছেন ৬০০ টাকা ভিজিট। অথচ বেসরকারি হাসপাতালে এর চেয়েও কম ভিজিটে সিনিয়র বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রোগী দেখছেন। আর শুধুমাত্র মেডিকেল অফিসার ১০০ টাকা ভিজিট নিয়ে রোগী দেখছেন।

অস্বাভাবিক ভিজিট ও ‘গলাকাটা’ বিল আতঙ্ক ছড়িয়েছে অন্য হার্ট রোগীদের মাঝেও। এতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে গাদাগাদি করে অথবা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও স্বায়ত্বশাসিত এই সেবা প্রতিষ্ঠানে সাধারণ রোগীরা তেমন আসছেন না। এতে কখনো রোগী শূন্য আবার কখনো দু’চার জন রোগী নিয়েই চলছে ১০০ শয্যার বিশেষায়িত এই হাসপাতাল।

সম্প্রতি হার্ট ফাউন্ডেশনের এই হাসপাতাল সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ৮ বেডের আইসিইউ’র সবগুলোই ফাঁকা, ১০ বেডের সিসিইউতে মাত্র দু’জন রোগী। এছাড়া ৫৩ টি সাধারণ বেডের সবগুলোই ফাঁকা এবং ১৭ টি কেবিনের মাত্র দুইটিতে রোগী দেখা যায়।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগীর স্বজন জানান, রাজশাহী মেডিকেলের থেকে স্বল্পমূল্যে ও ভালো সেবা পাবো এমন প্রত্যাশা নিয়ে রোগী ভর্তি করেছিলাম। কিন্তু অবাক হয়েছি, যখন বিলটা হাতে পাই। সাধারণ বেডে থেকেও মাত্র তিন দিনেই ১২ হাজার টাকার উপরে বিল! অথচ বড় কোন টেস্টও ছিলো না। পরে রোগীর ছেলে প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু কোন কাজ হয় নি। পরে ধার করে টাকা দিতে বাধ্য হয়েছে।

এই বিলের আতঙ্ক হৃদরোগে আক্রান্ত অনেক রোগীর মাঝেও এরইমধ্যে পৌঁছে গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হৃদরোগে আক্রান্ত এক রোগী জানান, জনৈক ডাক্তারের কাছে রাজশাহী ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের বিষয়ে জেনেছিলাম। ওই ডাক্তার বলেছিলেন কম খরচ হবে। কিন্তু বহির্বিভাগে ডা. রইস উদ্দিন নিয়েছেন ১ হাজার টাকা ভিজিট। অতিরিক্ত টেস্টের বিল নিয়েছে। নানাবিধ টেস্টও করিয়েছে। গরিব মানুষের জন্য এই প্রতিষ্ঠান না-এমন মন্তব্যও করেন তিনি।

আরেক রোগীর স্বজন আফরোজা বেগম বলেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আমার স্বামী। হঠাৎ করেই তীব্র বুকে ব্যথা নিয়ে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করায়। গত সপ্তাহে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হয়। কিন্তু নিয়মিত চেক-আপে থাকতে বলেছেন ডাক্তার। সে সময় জানতে পারি হার্ট ফাউন্ডেশনে কম খরচে ভালো চিকিৎসা হয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি স্বল্পমূল্যে বলা হলেও এখানে খরচ অনেক বেশি। তাই সেখানে চিকিৎসা নেয়ার চিন্তাও আর করি নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মানবসেবার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে একমত পোষণ করে রামেক হাসপাতালের হৃদরোগ ও মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. রইস উদ্দীন কাজ শুরু করলেও দৃশ্যত তা নেই। তিনি প্রতিষ্ঠানের সুনাম ব্যবহার করে প্রতিদিন রোগী দেখা বাবদ মোটা অঙ্কের অর্থও নিচ্ছেন এই প্রতিষ্ঠান থেকে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে তার আধিপত্য থাকায় ডা. রইস উদ্দিনের গণ্ডীর বাইরে সাধারণ রোগীরা এখানে তেমন একটা আসছেন না বলেও জানা যায়।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, যারা ত্যাগি সেসব ডাক্তারদের কোণঠাসা করে চাকরিচ্যুত করেছে পরিচালনা পর্ষদ। প্রতিষ্ঠানটিতে দীর্ঘ সময় যে ডাক্তাররা অবদান রেখেছেন, তারাও মান-সম্মানের ভয়ে প্রতিষ্ঠানটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন, এমন অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেছে। এছাড়া ৩০ শতাংশ রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসার যে শর্ত সেখানেও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।  

দিনশেষে ‘গলাকাটা’ বিলের ভারে শুধু নিম্ন-মধ্যবিত্ত রোগীরাই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন এমনটাই নয়; প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে ভূলুণ্ঠিত হতে দেখে প্রতিষ্ঠানটি গড়তে যারা সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাদের কেউ আক্ষেপ করছেন, কেউ ঝরাচ্ছেন অশ্রু।  

প্রতিষ্ঠানটিকে এগিয়ে নিতে যারা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন এমন বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। তারা জানান, ‘বসন্তের কোকিল’রা এখন হার্ট ফাউন্ডেশন পরিচালনা করছেন। পরিচালনা পর্ষদে দু’একজন ছাড়া বাকিদের তেমন কোন অবদান নেই। কিন্তু তারা ত্যাগি সমাজসেবকদের কোণঠাসা করতে মরিয়া।  এতে আত্মসম্মানের জায়গা থেকে ত্যাগিরা আস্তে আস্তে সরে গেছেন। কাউকে আবার বাধ্য করা হয়েছে। এখন যারা আছেন, তাদের কেউ আত্মীয়ের চাকরি নিতে এসেছেন, কেউ মধু খেতে এসেছেন। একারণেই তারা ভুলে গেছেন এটা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান নয়। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে মেডিকেল সম্পর্কে জ্ঞান আছে এমন ব্যক্তিদের থাকার কথা। কিন্তু এখানে হাতে গোনা দু’একজন ছাড়া অন্য কারও মেডিকেল সেন্টার পরিচালনার মতো কোন জ্ঞান নেই। এভাবে একটা প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না।  

আরও পড়ুনঃ মিথ্যা সাজা খেটেও দেশ থেকে পালাননি বেগম খালেদা জিয়া: এবিএম মোশারফ

তথ্য বলছে, এ অঞ্চলের হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের কথা চিন্তা করে ১৯৯২ সালে রাজশাহীর বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সমাজসেবক ডা. মো. আব্দুল খালেক নগরীর প্রাণকেন্দ্র লক্ষ¥ীপুরস্থ ‘বাকির মোড়ে’ অবস্থিত তার মূল্যবান জমি দান করে দেন। মানুষের সেবার কথা চিন্তা করে নিজের এক মেয়েকে ডাক্তারিও পড়ান। স্বপ্ন দেখেন তার মেয়ে তার স্বপ্ন সারথি হয়ে রাজশাহী ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালকে এগিয়ে নেবেন। এরপর ডা. খালেক পরিবারের প্রচেষ্টা ও স্থানীয় সমাজসেবীদের সহযোগিতায় নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে ২০২২ সালে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ৪৬ নং অধ্যাদেশের  অধীনে নিবন্ধন পায় ‘ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহী’।

এস্টাবলিশমেন্ট অব ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল রাজশাহী শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার প্রতিষ্ঠানটি স্থাপনে ২৩.১৩৫৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহীর নিজস্ব অর্থায়ন রয়েছে ১৫.৪২৬৯ কোটি টাকা। নিজস্ব অর্থায়নের ১৪.৫০ কোটি টাকায় আবার জমির মূল্যবাবদ। অর্থাৎ এই প্রতিষ্ঠানটিতে প্রতিষ্ঠাতা ডা. খালেক পরিবারের ত্যাগ সবচেয়ে বেশি। কিন্তু তার মেয়ে ডা. ইয়াসমিন খালেককেই কোণঠাসা করেছে পরিচালনা পর্ষদের অসাধু এই চক্র।

অশ্রু ছলছল নয়নে ডা. ইয়াসমিন খালেক বলছিলেন সে কথাই। তিনি বলেন, হার্ট ফাউন্ডেশন আমার বাবার স্বপ্ন ছিলো। আমি আর আমার বাবা বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদা তুলে প্রতিষ্ঠানটিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম। সেখানে রাজশাহীর কিছু সমাজসেবী ব্যক্তিও এগিয়ে আসেন। কিন্তু কষ্টের জায়গা হলো-প্রতিষ্ঠানটি যখনই মাথা তুলে দাঁড়াতে শুরু করলো তখনই একটি স্বার্থান্বেষী চক্র প্রতিষ্ঠানটিকে গ্রাস করলো। আমি নিজে বেতন দিয়ে একজন ডাক্তার সেখানে রেখেছিলাম, তাকেও সরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। আবার যেসব ডাক্তাররা এই প্রতিষ্ঠানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে, তাদের কেউ কৌশলে সরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। একটা চক্র প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধার করছে। যখন শুনি রোগী আসছে না, নানা অনিয়ম করা হচ্ছে- তখন হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়।

ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য ইঞ্জিনিয়ার একেএম খাদেমুল ইসলাম ফিকশন বলেন, এখন যে যতই লাফালাফি করুক না কেন, সমাজ হৈতষী ব্যক্তি ডা. খালেক না থাকলে এই প্রতিষ্ঠান হতো না। কিন্তু তাকেও এখান থেকে চিরতরে বিদায়ের প্রচেষ্টা শেষ পর্যায়ে। নিয়োগ, কেনাকাটা সবকিছুতেই অনিয়মের তথ্য পাচ্ছি। এখানে ৩০ শতাংশ গরীব রোগীকে বিনামূল্যে সেবা দেয়া কথা। অথচ বেসরকারি হাসপাতালের চেয়ের বেশি বিল নেয়া হচ্ছে! যা কখনোই কাম্য নয়। এভাবে একটা সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না।

এ বিষয়ে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মহা. হবিবুর রহমান বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটির পেছনে ডা. খালেকের অবদান সবচেয়ে বেশি এটা মানতেই হবে। তার নামে ক্যাথল্যাবের নামকরণ করা হয়েছে। আর তার মেয়ে ডা. ইয়াসমিন খালেককে আমি চিনি না। তবে হাশনাত খালেক নামের আরেক মেয়ে এখানে নির্বাহীতে আছেন। আর এখানকার খরচ বেসরকারি ক্লিনিকের সঙ্গে মেলালে হবে না। দেশের অন্য হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে যে খরচ নেয়া হচ্ছে, তার চেয়ে কম খরচেই আমরা সেবা দিচ্ছি।