spot_img

― Advertisement ―

spot_img

রাজশাহীতে সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা

মোঃ আব্দুল আলিম, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মানবিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে রাজশাহীতে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল ৯টা থেকে...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসরাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী জহুরুলের উদ্যোক্তা হওয়ার অনুপ্রেরণার যাত্রা

রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী জহুরুলের উদ্যোক্তা হওয়ার অনুপ্রেরণার যাত্রা

মোঃ আব্দুল আলিম, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী মো. জহুরুল ইসলাম পড়াশোনার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। রাজশাহীর উপশহর নিউ মার্কেটের পাশের রাস্তায় বসে তিনি বিক্রি করছেন বিশুদ্ধ ঘোল, মাঠা, বগুড়ার বিখ্যাত দই ও বিশেষ রস মালাই। তার এই উদ্যোগ ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

জহুরুলের জন্ম রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার সূর্য্যভাগ গ্রামে। ছোটবেলা থেকেই তিনি স্বপ্নবাজ ও পরিশ্রমী ছিলেন। বর্তমানে রাজশাহী কলেজের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত তিনি। উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছা থেকে রমজান মাসে বিশুদ্ধ খাদ্যপণ্য বিক্রির উদ্যোগ নেন। তার মতে, ব্যবসার জন্য শুধু পুঁজি নয়, ইচ্ছাশক্তি ও পরিশ্রমও অত্যন্ত জরুরি।

তিনি বলেন, “আমার সবসময় ইচ্ছে ছিল, এমন কিছু করব যাতে মানুষ উপকৃত হয়। রমজানে বিশুদ্ধ ঘোল, মাঠা ও দইয়ের চাহিদা বেশি থাকে, তাই চিন্তা করলাম—এই চাহিদা পূরণে আমি নিজেই উদ্যোগ নিতে পারি।”

এভাবেই শুরু হয় তার ‘লাজিজ’ নামের ছোট ফুড ব্র্যান্ড। রাজশাহী শহরের উপশহর নিউ মার্কেটের রাস্তার পাশে একটি টেবিলের ওপর সারি সারি বোতলে সাজানো থাকে বিশুদ্ধ ঘোল ও মাঠা। পাশে একটি ব্যানারে লেখা— “লাজিজ: পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ঘোল, মাঠা, বগুড়ার দই ও স্পেশাল রস মালাই পাওয়া যাচ্ছে।”

আরও পড়ুনঃ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের মতবিনিময় ও ইফতার

প্রথমদিকে সংশয়ে থাকলেও তার মানসম্মত খাদ্যপণ্য দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। এক ক্রেতা জানান, “আজকাল বিশুদ্ধ খাবার পাওয়া কঠিন। কিন্তু জহুরুলের ঘোল ও মাঠা খাঁটি এবং দারুণ স্বাদযুক্ত। রাজশাহীতে বসেই আমরা সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ার বিখ্যাত দই-ঘোল পাচ্ছি, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।”

তবে একজন শিক্ষার্থী হয়ে ব্যবসা করা সহজ ছিল না। সামাজিক চাপ ও নেতিবাচক মন্তব্য উপেক্ষা করে তিনি তার লক্ষ্য স্থির রেখেছেন। জহুরুল বলেন, “মানুষ কী বলবে, এটা ভাবলে কোনো কাজই করা সম্ভব নয়। আমি বিশ্বাস করি, সততা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করা সম্ভব।”

তার এই উদ্যোগ শুধু ব্যবসা নয়, অনেক তরুণের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে। উদ্যোক্তা হওয়ার সাহস যারা পাচ্ছেন না, তাদের জন্য জহুরুলের গল্প এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।