spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ত্রিশালে সেনাপ্রধানের স্বপ্নের অলিম্পিক কমপ্লেক্স নির্মিত হবে ১৭৩ একর জায়গায়

আবুল কালাম আজাদ, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধিঃ দেশের ক্রীড়াঙ্গনে যুগান্তকারী পরিবর্তনের লক্ষ্যে ময়মনসিংহের ত্রিশালে নির্মিত হতে যাচ্ছে মাল্টি-স্পোর্টস অলিম্পিক কমপ্লেক্স। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) সভাপতি...
প্রচ্ছদসারা বাংলাআরএমপির মতিহারে মাদকের স্বর্গরাজ্য, এক হোয়াইট কালার গডফাদার এখনও অধরা

আরএমপির মতিহারে মাদকের স্বর্গরাজ্য, এক হোয়াইট কালার গডফাদার এখনও অধরা

পাভেল ইসলাম মিমুল, স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর আরএমপি এলাকার মতিহার থানা অঞ্চল এখন মাদকের এক ভয়াল স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত অভিযান চললেও এই অঞ্চলের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এক ‘হোয়াইট কালার’ গডফাদারের ছায়াতলে গড়ে উঠেছে শক্তিশালী এক মাদক সিন্ডিকেট, যা দিনের পর দিন দাপটের সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অপতৎপরতা।

সূত্র জানায়, মতিহার থানার অধীন এলাকায় ছোট-বড় মিলে প্রায় ১৯৯ জন মাদক ব্যবসায়ী সক্রিয় রয়েছে। এদের নেতৃত্বে রয়েছে মৃত আব্দুলের ছেলে জাকা এবং মুজাম্মেলের ছেলে সাগর। এ দু’জন বর্তমানে মিজানের মোড়, সাতবাড়িয়া, খোঁজাপুর, জাহাজঘাটসহ কয়েকটি স্পটে সরাসরি মাদক বিক্রির নেতৃত্ব দিচ্ছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রকাশ্যে ফেনসিডিল, হেরোইন, গাঁজা, ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য তুলে দিচ্ছেন সেবনকারীদের হাতে। এক বোতল ফেনসিডিলের দাম ২৮০০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। এই টাকা জোগাড় করতে গিয়ে অনেক মাদকাসক্ত জড়িয়ে পড়ছে চুরি, ছিনতাই ও ব্ল্যাকমেইলের মতো অপরাধে। এমনকি স্কুল-কলেজের ছাত্ররাও নিস্তার পাচ্ছে না এই ভয়াল ছোবল থেকে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মিজানের মোড় এলাকার জাকা ও সাগরের নেতৃত্বাধীন চক্রটি প্রতিদিন ২০-৩০ জন সদস্যের সমন্বয়ে একটি সঙ্ঘবদ্ধ মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে বিভিন্ন সন্ত্রাসী, চোর ও ছিনতাইকারী। কেউ প্রতিবাদ করলেই তাকে হুমকি, হয়রানি এমনকি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, এসব কারবারির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

স্থানীয় একাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “মাদকের বিরুদ্ধে আমরা সবসময় সোচ্চার থাকলেও কিছু প্রভাবশালী চক্র এসব কারবারিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। বিশেষ করে জাকা ও সাগরকে গ্রেপ্তার না করলে এ ব্যবসা বন্ধ হবে না।”

আরও পড়ুনঃ ইবির ল’ অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড এনলাইটেন্ড সোসাইটির সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন সম্পন্ন

এ বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) সাবিনা ইয়াসমিন জানান, “মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ মাদকসহ কারবারিদের গ্রেপ্তার করছে। তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের পুলিশ নজরদারিতে রেখেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) রাজশাহী বিভাগের উপ-পরিচালক মো. জিল্লুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এলাকাবাসী মনে করছেন, দ্রুত প্রশাসনের দৃঢ় পদক্ষেপ না নিলে মতিহার অঞ্চলের যুবসমাজ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে। আর মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা পেতে হলে ‘হোয়াইট কালার’ গডফাদারসহ সিন্ডিকেটের মূল হোতাদের আইনের আওতায় আনা এখন সময়ের দাবি।