
তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির শাখার উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী ‘ইসমাইল আল জাযারি বিজ্ঞান উৎসব’ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গণে এ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সেক্রেটারি ইউসুব আলী, ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ শাখার সভাপতি শোয়াইব আহাম্মেদসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।
তিন দিনব্যাপী এই উৎসবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, লালন কলা ও বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ অঞ্চলের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছেন।
মেলা উপলক্ষে বটতলায় স্থাপন করা হয়েছে ৫৫টি স্টল। এতে প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, রোবটিক্স কিউব প্রতিযোগিতা, প্রজেক্ট ও পোস্টার প্রদর্শনী, বর্ণবর কিউব প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন আয়োজন রাখা হয়েছে।
উৎসবের প্রথম দিনে ২১টি দলের ৬৩ জন প্রতিযোগী প্রোগ্রামিং কনটেস্টে অংশগ্রহণ করেন। দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠিত হয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, রোবটিক্স কিউব প্রতিযোগিতা এবং প্রজেক্ট প্রদর্শনী। আগামীকাল শেষ দিনে প্রজেক্ট অ্যান্ড পোস্টার প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হবে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে প্রথম দশজনকে বিশেষ পুরস্কারসহ লক্ষাধিক টাকার পুরস্কার প্রদান করা হবে।
ছাত্রশিবিরের শাখা সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, “ছাত্রশিবির শুধুমাত্র রাজনৈতিক সংগঠন নয়, এটি একটি আদর্শিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। দেশে অনেক প্রতিভা রয়েছে, কিন্তু তাদের প্রকাশের সুযোগ নেই। আমরা সেই প্রতিভাবানদের সামনে আনার চেষ্টা করছি, যেন দেশ ও সরকার তাদের চিনতে পারে।”
আরও পড়ুনঃ ইবিতে পরীক্ষা দিতে এসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার আটক, থানায় সোপর্দ
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্টল পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “ছাত্রশিবিরের এই আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ছাত্র সংগঠনের এমন সৃজনশীল প্রোগ্রাম আয়োজন করা উচিত। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।”
তিন দিনব্যাপী এই বিজ্ঞান উৎসব ক্যাম্পাসজুড়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিজ্ঞানমনস্কতা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের আগ্রহ তৈরিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।