spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত কার্বন ফেস্টে চ্যাম্পিয়ন ববি শিক্ষার্থী মঞ্জুরুল

দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত কার্বন ফেস্টে চ্যাম্পিয়ন ববি শিক্ষার্থী মঞ্জুরুল

ডালিয়া হালদার, ববি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ‘কার্বন ফেস্ট-২০২৫’-এ পোস্টার উপস্থাপনায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মঞ্জুরুল ইসলাম। জলবায়ু পরিবর্তন ও কার্বন নিরপেক্ষতার ওপর ভিত্তি করে আয়োজিত এই উৎসবে তার গবেষণাভিত্তিক উপস্থাপনাটি ছিল “ফুটপ্রিন্টস টু ব্লুপ্রিন্টস: টেকসই কৃষি ও কার্বন নিউট্রালিটির পথ” শীর্ষক।

গত শুক্রবার (২৩ মে) গাজীপুরের সিসিডিবি ক্লাইমেট সেন্টারে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের আয়োজনে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

মঞ্জুরুলের গবেষণায় কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে জলবায়ুবান্ধব কৃষি ব্যবস্থা গঠনে উদ্ভাবনী পরিকল্পনা ও প্রযুক্তিনির্ভর সমাধান তুলে ধরা হয়। পোস্টার উপস্থাপন ছাড়াও কার্বন ফেস্টে ভিডিও ডকুমেন্টারি, কার্বন কোয়েস্ট, জলবায়ু বিষয়ক কুইজসহ নানা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সিসিডিবি’র নির্বাহী পরিচালক জুলিয়েট কেয়া মালাকার ও এনভোলিড লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোরশেদুল বারী।

অ্যাগ্রিডিকার্বাথন-২০২৫ আয়োজনে সহযোগিতা করে আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসিসিএডি ও এগ্রোট্রেন্ডস।

আরও পড়ুনঃ পদ্ম পুকুরে প্রকৃতির হাসি: রাজশাহী কলেজের এক মনোমুগ্ধকর রত্ন

চ্যাম্পিয়ন মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশের প্রথম কার্বন ফেস্টে জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া আমার জন্য বিশাল সম্মানের। মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞানের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে, আমি সবসময় টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশ রক্ষার বাস্তবসম্মত সমাধানে আগ্রহী। এই ফেস্ট আমাকে শুধু একটি প্ল্যাটফর্মই দেয়নি, বরং জাতীয় পর্যায়ে জলবায়ু নিয়ে কাজ করার এক দুর্লভ সুযোগও এনে দিয়েছে।”

আয়োজকরা জানান, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় সচেতনতা এবং তরুণ প্রজন্মের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেই এই ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন। তারা আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই ধরনের আয়োজন ছড়িয়ে পড়বে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, যেখানে তরুণরা নিজেদের সৃজনশীলতা ও গবেষণাকে কাজে লাগিয়ে পরিবেশ রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।