spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদসারা বাংলাসাতক্ষীরা দেবহাটার পারুলিয়াতে জমে উঠেছে  কোরবানির পশুর হাট

সাতক্ষীরা দেবহাটার পারুলিয়াতে জমে উঠেছে  কোরবানির পশুর হাট

ইব্রাহীম হোসেন, দেবহাটা প্রতিনিধিঃ আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া হাটে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর বেচাকেনা। তবে ক্রেতার ভিড় থাকলেও বিক্রি তেমন হয়নি বলে হতাশা প্রকাশ করছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা।

রোববার (১ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাতক্ষীরার সর্ববৃহৎ পশুরহাট পারুলিয়ায় দেশি প্রজাতির গরু, ছাগল ও ভেড়ার উপস্থিতি যথেষ্ট হলেও বড় সাইজের পশু তুলনামূলকভাবে কম। চাহিদা বেশি মাঝারি ও ছোট সাইজের গরু ও ছাগলে।

ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ থাকায় এবার দেশীয় গরুর দাম বেড়েছে। ফলে সাধারণ ও মধ্যবিত্ত ক্রেতারা বড় গরুর পরিবর্তে ঝুঁকছেন তুলনামূলকভাবে ছোট ও সাশ্রয়ী পশুর দিকে।

স্থানীয় খামারিরা জানিয়েছেন, এবার তারা গরু মোটা-তাজা করতে কোনও কৃত্রিম ওষুধ ব্যবহার করছেন না, বরং প্রাকৃতিক খাদ্য যেমন কাঁচা ঘাস, খৈল, ভুসি ও ধানের কুড়ার মাধ্যমে গরু লালনপালন করেছেন। তবে পশুখাদ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে, যার ফলে গরুর দামেও তার প্রভাব পড়েছে।

কাশেমপুর থেকে আসা খামারি কামরুজ্জামান টুটুল বলেন, “আমি কয়েক বছর ধরে গরু ও ছাগল পালন করছি। এবার হাটে ৬০-৭০ হাজার টাকায় দেশি গরু এনেছি, আর খাসি ছাগল ২০-৩০ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি করছি। তবে দাম বেশি হওয়ায় বিক্রি এখনো আশানুরূপ হয়নি।”

হাটে আসা এক ক্রেতা বলেন, “বাজারে পশু রয়েছে প্রচুর, তবে গত বছরের তুলনায় দাম বেশ কিছুটা বেশি। ফলে হাটে ঘুরছি, তবে এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। দাম একটু কম হলে হয়তো কিনতাম।”

আরও পড়ুনঃ জানার স্মৃতিতে শিরোপা উৎসর্গ, হৃদয়ে গেঁথে থাকা বাবার নাম লুইস এনরিকে

উল্লেখ্য, পারুলিয়ার এ হাটটি সপ্তাহে একদিন রোববার বসে। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে একদিনের হাটেই স্থানীয়সহ বিভিন্ন জেলার খামারি ও ব্যবসায়ীরা পশু নিয়ে আসছেন। হাটে বড় আকৃতির গরুর উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম হলেও, মাঝারি ও ছোট গরু এবং ছাগলের দামে মেলেনি আপোষ।

স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতীয় গরু অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তদারকিতে হাটে বিক্রির জন্য আসা গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

সব মিলিয়ে পশুর হাটে সরব উপস্থিতি থাকলেও বেশি দামে বিক্রির প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় খুশি নন অনেক বিক্রেতা। আর দাম বেশি হওয়ায় দোটানায় রয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। এখন দেখার বিষয়, ঈদের আগের শেষ মুহূর্তের হাটগুলোতে পশু বিক্রিতে গতি ফেরে কি না।