spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসইবিতে কমপ্লিট শাটডাউনের হুঁশিয়ারি শিক্ষার্থীদের

ইবিতে কমপ্লিট শাটডাউনের হুঁশিয়ারি শিক্ষার্থীদের

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পুকুর থেকে শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে ফের বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় ৭দফা দাবিসহ ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের আহ্বান জানান তারা। দাবি না মানলে আগামী মঙ্গলবার বেলা ১১ টা থেকে প্রশাসন ভবন চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন ও বিশ্ববিদ্যালয়কে শাটডাউন ঘোষণা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে ৪টার দিকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। পরে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ফটকের তালা খুলে দেয় তারা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ অন্যান্য ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভে অংশ নেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা ৭ দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিসমূহ হলো- সাজিদ হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার ট্রাইবুনালের মাধ্যমে ন্যূনতম সময়ে সম্পন্ন করতে হবে, সাজিদ হত্যার জন্য ক্যাম্পাস বাদি হয়ে মামলা করবে ও ক্যাম্পাস সাজিদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিবে, মামালার তদন্তের ভার পিবিআইকে দিতে হবে।, অধিকতর তদন্ত ও সাজিদ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অন্যান্য প্রশ্নের সমাধানের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে, প্রশাসন সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ও প্রতি ফ্লোরে সিসি ক্যামেরা লাগাবে, নিরাপত্তা প্রশাসনের পরিপূর্ণ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে স্পষ্ট বিবৃতি দিবে এবং ক্ষমাপ্রার্থনা করতে হবে, ভিসেরা রিপোর্ট দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রদানের তাগিদ দিতে হবে।

এর আগে গত ১৮ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টায় সাজিদের লাশ পোস্টমর্টেম করা হয়। কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রুমন রহমান জানান, সাজিদের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, পোস্টমর্টেমের প্রায় ৩০ ঘণ্টা পূর্বে (অর্থাৎ ১৬ জুলাই আনিমানিক দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার আগে) সাজিদের মৃত্যু হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট সাগরের পরিবারকে নেওয়া হলো ঢাকায়

উল্লেখ্য, ১৭ জুলাই বিকেল সাড়ে ৬ টায় শাহ আজিজুর রহমান হল পুকুর থেকে আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। ১৮ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল প্রশাসন থেকে দুইটি তদন্ত কমিটি করা হয়। ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে উভয় কমিটি। এদিকে এই ঘটনায় ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ ও পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পুকুরে নামা নিষিদ্ধ করে মাইকিং করেছে প্রশাসন। এর আগে ১৯ জুলাই সাজিদের মৃত্যুকে ‘হত্যাকাণ্ড’ দাবি করে সুষ্ঠু তদন্ত ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে টানা পাঁচ ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, আমরা তদন্তের অগ্রগতির জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। এর আগে শিক্ষার্থীরা অনেকগুলো দাবি দিয়েছিলেন যেগুলো বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।

উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে থাকা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী বলেন, তদন্তের বিষয়টি পুলিশের উপর বর্তায়। আর যেহেতু তার বাবা একটি মামলা দায়ের করেছে। তাই এ বিষয়ে পুনরায় মামলা করার পরিকল্পনা নেই। আমরা তার পরিবারের করা মামলায় সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো। এ ছাড়া মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে প্রশাসনের তদন্ত কমিটি কাজ করছে এবং শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নে প্রশাসন যথেষ্ট আন্তরিক বলে জানান তিনি।