
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চারটি হল এর মধ্যে প্রথমবারের মতো বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে উদযাপিত হতে যাচ্ছে বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা।
বৈশাখ শেষ হয়ে গেলেও তার রেশ কাটেনি এখনো।আসছে ১৪ ও ১৫ মে দুইদিনব্যাপী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা হলে অনুষ্ঠিত হবে বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা।
হলের আগ্রহী ছাত্রীরা মেলায় বিভিন্ন ধরনের দোকানসহ নানা আয়োজনে উদযাপন করবে এই মেলা। প্রথমবারের মতো এই আয়োজন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বাঁধভাঙ্গা উল্লাস।
আরও পড়ুনঃ কোচিং না করেই পুলিশ ক্যাডারে ববির রুহুল আমিন
গনিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জারিন তাসনীম বলেন, সৃজনশীলতার অনন্য উদাহরণ “বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা হল এর মেয়েরা”বললে খুব একটা ভুল হবে না। সব সময় নতুন চিন্তা এবং সেই চিন্তাকে বাস্তবে রুপান্তর করতে এই হলের মেয়েরা দক্ষহস্ত। কথায় আছে যে রাধে সে চুল ও বাধে। বঙ্গমাতা হলের মেয়েরা ঠিক তেমন।তাদের শৈল্পিক গুণাবলী ই তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকি ৩ টা হলের চেয়ে অনন্য করেছে।
এর আগেও এই হলের মেয়েরা দেয়ালিকা প্রদর্শন করে ” Most unique “দেয়ালিকার খেতাব জিতে নিয়েছে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং একাডেমিক রেজাল্ট এর কোনটাতেই এই হলের মেয়েরা পিছিয়ে নেই। একই সাথে উদ্যোক্তা মনোভাব সম্পন্ন সবার কথা ভেবেই হল প্রভোষ্ট ড.হেনা রানী বিশ্বাস এই মেলার উদ্যোগ গ্রহন করেন।
ড. হেনা রানী বিশ্বাস তার বক্তব্যে বলেন, আজকাল হতাশা একটি ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে, এই ব্যাধিতে যেন কেউ আক্রান্ত না হয় তাই তিনি এর আগেও বিভিন্ন ধরনের সচেতনতা মূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন । তিনি বলেন, আমি মনে করি এই হলে যেই মেয়েরা আছে তারা আমার নিজের মেয়ে, আর আমার সন্তানদের মানষিক স্বাস্থ্য নিয়ে সব সময় আমি সচেতন। তাদের সকল চাহিদা পূরনে আমি সব সময় চেষ্টা করি।ইতিমধ্যে সবার জন্য ফিল্টারের ব্যবস্থা করেছি এবং ডাইনিং এর খাবারের গুনগত মান ও সব সময় যাচাই করছি।
তিনি আরও বলেন, আমাকে সব সময় সহয়তা করেন আমাদের উপাচার্য মহোদয় স্যার, (ডঃ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া) তিনি নিজেও আমার হলের মেয়েদের নিয়ে যথেষ্ট সচেতন। তার অনুমতিক্রমেই আমরা এই মেলার আয়োজন করছি।আশা করি সামনে এমন আরো অনেক অনুষ্ঠান দেখতে পারবেন।পরবর্তীতে মেয়েদের নিয়ে বনভোজন করার চিন্তাও মাথায় রেখিছি।
হলের শিক্ষার্থীরা জানান, এই আয়োজন তাদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি করেছে,এবং ভবিষ্যতে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনে তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করবে।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন , মেলায় বিভিন্ন ধরনের দোকান থাকবে। খাবারের দোকান সহ, শাড়ি, মাটির জিনিস, পিঠাপুলির দোকান এবং মেয়েদের বিভিন্ন অলংকারের দোকান নিয়ে বসবে নারী উদ্যোক্তারা।