spot_img

― Advertisement ―

spot_img

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বন্যার্তদের সাহযোগিতায় ৪ সিদ্ধান্ত

মো: মাহিদুজ্জামান সিয়াম, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ হঠাৎ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। প্লাবিত চরাঞ্চলে বন্যার্ত মানুষদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে...
প্রচ্ছদকলামভিন্নমত‘মৌমিতাকে অন্তত ১০-১৫ জন ধর্ষণ করেছে’ অভিযোগ বাংলাদেশী ছাত্রের

‘মৌমিতাকে অন্তত ১০-১৫ জন ধর্ষণ করেছে’ অভিযোগ বাংলাদেশী ছাত্রের

মো: মাহিদুজ্জামান সিয়াম, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজে কতর্ব্যরত অবস্থায় ৩১ বছর বয়সী তরুণী চিকিৎসক ডা. মৌমিতা দেবনাথকে ৩৬ ঘন্টার ডিউটি শেষে সেমিনার রুমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় ধ’র্ষ’ণ ও হত্যা করা হয়েছে।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে টানা ৩৬ ঘণ্টার ‘অন-কল’ ডিউটিতে ছিলেন তরুণী চিকিৎসক। রাতে অলিম্পিকে জ্যাভলিন থ্রোর ফাইনালে ভারতের নীরজ চোপড়ার ইভেন্ট টিভিতে দেখে এবং অনলাইনে আনানো খাবার সহকর্মীদের সঙ্গে খেয়ে চারতলার পালমোনোলজি বিভাগের সেমিনার হলে কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম নিতে যান তিনি।

পরদিন সকালে জুনিয়র সহকর্মীরা ওই হলের ভেতরেই তার অর্ধনগ্ন মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। নিহত তরুণীর গোপনাঙ্গের পাশেই পড়ে ছিল মেয়েদের মাথার চুলের একটি ক্লিপ।

আন্দোলনকারীরা জানান, নিহত ওই তরুণীর পোস্টমর্টেম ও অটোপসি রিপোর্টের কপি তাদের হাতে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, তার স্টার্নাম, কলারবোনও পেলভিক জয়েন্ট ভেঙে গিয়েছিল। চোখ, মুখ ও যৌনাঙ্গ থেকে প্রচুর রক্তপাত হচ্ছিল। তরুণীর বাম পায়ে, ডান হাতে, ডান হাতের আঙুলে, ঘাড়ে ও ঠোঁটে মোট ১১টি ক্ষত ছিল। সারা শরীরে নির্যাতনের যে ধরনের লক্ষণ পাওয়া গেছে তা থেকেই তার সহকর্মীরা মনে করছেন, এই কাজ কিছুতেই একজন ব্যক্তির পক্ষে করা সম্ভব নয়।

ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট দেখে বাংলাদেশের সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজের একজন ছাত্র মাহমুদুল হাসান সুমন অভিযোগ তুলেছেন, কমপক্ষে ১০-১৫ জন পুরুষ ডাঃ মৌমিতা দেবনাথ কে ধর্ষণ করেছে।

তার ফেসবুকে অভিযোগ পূর্ণ স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলো:

“ কলকাতার পাশের একটি মেডিকেল কলেজ আরজিকর।পূর্ব ভারতের একসময়ের সবচেয়ে নামী মেডিকেল কলেজ।
সেই মেডিকেল কলেজের একজন মেয়ে ডাক্তার মৌমিতা দেবনাথ। টানা ৩৬ ঘন্টা নাইট ডিউটি দেওয়ার পর সেমিনার রুমে রেস্ট নেয়ার সময় কিছু পশুর দ্বারা নির্মমভাবে রেইপড হয়েছেন।কতবার হিসেবে নেই।শুধু জীবিত অবস্থায় নয়,মৃত্যুর পরও অসংখ্যবার। এই ঘটনার বর্ণনা পড়তে গিয়ে আমার গা গুলিয়ে ওঠেছে।

ত্রিশ সেকেন্ডের বেশি তার গলা সর্বশক্তিতে চেপে ধরে রাখা হয়েছে যতোক্ষণ পর্যন্ত তার চোখ দিয়ে রক্ত আসতে থাকে,যতক্ষণ পর্যন্ত না, মুখ দিয়ে অনবরত রক্ত না আসতে থাকে। চেপে ধরে রাখার জন্য কোনো শব্দ করতে পারে নি সে,অসীম যন্ত্রনা সহ্য করেছে সে।তার সারা শরীরে ১১৩ টি কামড়ের দাগ!১১৩ টি ইনজুরি করতে ঠিক কি পরিমাণ অত্যাচার করতে হয় আমি জানি না।তার শরীর থেকে প্রায় ১৫০ গ্রাম রক্ত ও সিমেন মিশ্রিত ফ্লুইড পাওয়া গেছে। যার এক তৃতীয়াংশ মেয়েটির নিজের রক্ত হলেও অবশিষ্ট এমাউন্ড থেকে স্পষ্ট মেয়েটিকে অন্তত দশ থেকে পনেরো বার রেইপ করা হয়েছে।

এতোটাই তার পায়ে ফোর্সফুলি করা হয়েছে যে তার কোমড়ের অস্থি – হিপ বোন ফ্রেকচার হয়ে গেছে, গলার উপরের হায়অয়েড বোন ফ্রেকচার হয়ে গেছে।কতবার তা ডাক্তাররা পরীক্ষার পরও নিশ্চিত হয়ে এখনো বলতে পারেন নি। অন্তত দশ থেকে পনেরো বার?এই ইনসিডেন্ট কয়বার তার জীবন দশায় হয়েছে, কয়বার তার মারা যাবার পর সেটাও বলা যায় নি।কতোটা পশু হলে মৃত্যুর পরও অনবরত রেইপ করা যায় আমি ভাবতে পারি না। মেয়েটার অপরাধ কি ছিলো? মেয়েটি একটা হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা দিতে নাইট ডিউটি দিচ্ছিলো।যেখানে একটা ডাক্তার নিরাপদ না, সেই হসপিটালের রোগীরাও কি আদৌ নিরাপদ?

আরও পড়ুনঃ ভারতে মসজিদের ইমামকে পিটিয়ে হত্যা করেছে জনতা

সেই কলেজের প্রিন্সিপাল ডা. সন্দ্বীপ ঘোষ এর থ্রোতে এই ঘটনাটি ঘটবার পর বাসায় জানানো হয়েছে, ‘আপনার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।’ ডা. সন্দ্বীপ ঘোষ একজন ডাক্তার হয়ে দেখেই বোঝার কথা কোনটা আত্মহত্যা আর কোনটা রেইপ!গায়ে শ খানেক ইনজুরি,কোনো কাপড় নেই, এভাবে মানুষ আত্মহত্যা করে?কার প্রশ্রয়ে উনি মিথ্যা স্টেটমেন্ট দিয়েছেন পরিষ্কার নয়।কেউ তো আছেই। সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার সেই ঘটনার তিনদিন হয়ে যাবার পরও পুলিশ নাকি বুঝতে পারছে না এটা একজনের কাজ নাকি একাধিক জনের কাজ! উচ্চমহলের হাত ছাড়া একজন পুলিশ এই কথা কিভাবে বলেন? এই ঘটনার প্রতিবাদে ভারতে গতকাল চলেছে,’মেয়েরা রাত দখল করো!’ আন্দোলন, সমাবেশ। যে যে জায়গা থেকে প্রতিবাদ করেছে একত্রে জড়ো হয়ে।একই কমিউনিটির মানুষ হিসেবে এর প্রতিবাদ করছি ও একাত্মতা প্রকাশ করছি।

বর্ণনাটা এখনো চোখে ভাসছে…
‘A broken hyoid bone, blood spilled from eyes, black mark all over the body, blood from the private part, seminal fluid of multiple persons inside the body.”