মোঃ রেজাউল করিম, লালমনিরহাট (জেলা) প্রতিনিধিঃ বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু বলেছেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর গুলি করে খুনি হাসিনা দেশ শাসন করতে চেয়েছিলো। কিন্তু হাসিনার শেষ রক্ষা হয়নি। ছাত্র-জনতা তাদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এদেশ স্বাধীন করেছে।
শুক্রবার (১৬ আগষ্ট) বিকেলে ছাত্র জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর ৫আগষ্ট বিকেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণকারী লালমনিরহাটের মেরাজুল ইসলাম মেরাজ হত্যার প্রতিবদে সম্প্রতি সমাবেশে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, গনতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য মিরাজসহ হাজার, হাজার ছাত্রজনতা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে স্বৈরশাসক, নিষ্ঠুর সরকার একটি নারকীয় সরকারকে পতন ঘটিয়েছে। ২য় স্বাধিনতা অর্জনে বাংলাদেশ যতদিন বেঁচে থাকবে জাতি তাদেরকে বীরশ্রেষ্ঠ হিসেবে স্বরন করবে।
এর আগে তিনি নিহতের কবর জিয়ার শেষে স্বজনদের সাথে দেখা করেন। এসময় মেরাজের বাবা- মা কান্নায় ভেঙে পড়েন। বিএনপি নেতা দুলু পরিবারটির হাতে অর্থ সহায়তা হিসাবে নগদ এক লাখ টাকা তুলে দেন।
দুলু আরও বলেন, দির্ঘ ১৮ বছর যাবত এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছি। অনেকে হতাশ হয়ে গিয়েছিল যে আওয়ামীলীগ সরকার জীবনেও বুঝি কিছু হবে না। কিন্তু আজকে তাদের সে ধারনা উল্টে গিয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, ছাত্রনজনতার গনঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরশাসক হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। সে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার তারা মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। দিনের ভোট রাতে করে। সাধারন নিরীহ মানুষকে অনেক হয়রানী, অন্যায়, অত্যাচার, মিথ্যা মামলা দিয়ে বছরের বছর জেলখানায় বন্দি করে রাখত।
তিনি বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তাকে গুম করত। এজন্য এই সরকারের প্রতি মানুষের সমর্থন হারিয়ে ফেলেছে। সেজন্য গনঅভ্যুত্থানে মুখে পালিয়ে ভারতে গিয়েছে। এখন সে দেশেও রাখতে চাচ্ছে না। পৃথিবীর বুকে কোথাও তার জায়গা হচ্ছে না। কারন সে স্বৈরশাসক, গনতন্ত্রহত্যাকারী কোথাও তার আশ্রয় হবে না। সে অচল পয়সা যার কেউ নিবে না।
আরও পড়ুনঃ সাভারের চারিগ্রামের গ্রাম সুরক্ষা বৈঠক অনুষ্ঠিত
শেখ হাসিনা এখন সারাবিশ্বে অচল পয়সায় রুপান্তরিত হয়েছে। কারন সে স্বৈরশাষক, দুর্নীতিবাজ বাংলাদেশের ছাত্রজনতা ও সাধারন মানুষ গন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পড়াজিত করেছে।মো:রেজাউল করিম,লালমনিরহাট।
সমাবেশে অন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ- সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুল, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক একেএম মমিনুল হক, জেলা যুবদলের সভাপতি আনিছুর রহমান আনিছ, মহিষখোচা বিএনপির সভাপতি দুলাল মিয়া, আদিতমারী যুবদলের সদস্য সচিব হাসানুল বান্না ও নিহত মিরাজের পিতা আব্দুস সালাম প্রমুখ।