মোঃ আব্দুল্লাহ, শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধিঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার সাভারের বাইপেল রোডে গুলিবৃদ্ধ হয়ে নিহত আল আমিন মালত (২৯) এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার (১৮ আগষ্ট) বাদ আসর শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বিঝারী ইউনিয়নের মগর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
আল আমিন মালত ওই গ্রামের ইসমাইল মীর মালত এর ছেলে। তিনি সাভারের বাইপেল রোডে পারিবারিক ব্যবসা দেখাশুনা করতেন। গত ৫ আগষ্ট সবার সঙ্গে মিছিলে গিয়েছিলেন আল আমিন। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের হিমাগারে মরদেহ শনাক্ত করে পরিবার।
রোববার সকালে অ্যাম্বুলেন্সযোগে মরদেহ শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় আনা হয়। পরে বাদ আসর পঞ্চপল্লী গুরুরাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে শহীদ আল আমিন মালতের মরদেহ দাফন করা হয়।
শহীদ আল আমিনের বোন আফলান সিনথিয়া জানান, ‘গত ০৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের এক দফা আন্দোলনের সময় মিছিলে গিয়েছিলো আমার ভাই। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। আমরা অনেক খোঁজাখুজি করেও তার কোন সন্ধান পাইনি। একটি সুত্রে জানতে পারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের হিমাগারে কয়েকটি বেওয়ারিশ লাশ পরে আছে। শনিবার আমরা সেখানে গিয়ে আমার ভাইয়ের মরদেহ শনাক্ত করি। আমার ভাই রাষ্ট্রের জন্য আন্দোলনে গিয়ে শহীদ হয়েছেন। আমরা চাই আমার ভাইকে যেন জাতীয় বীরের মর্যাদা দেয়া হয়।’
আরও পড়ুনঃ ‘বিতর্কিত কারিকুলাম অবিলম্বে বাতিল করুন’
শহীদ আল আমিনের ছোট ভাই মোহাম্মাদ সাদও সেদিন একই সঙ্গে মিছিলে গিয়েছিলেন। সেদিনের স্মৃতিচারন করে মোহাম্মাদ সাদ জানান, ‘সেদিন সাভারের বাইপেল রোডে আমরা একই সঙ্গে মিছিলে গিয়েছিলাম। মিছিল চলাকালীন সময়ে হঠাৎ চারপাশের কয়েকটি বিল্ডিং এর ছাদ থেকে গুলি বর্ষন শুরু হয়। এসময় আমরা সবাই দৌড়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। আমি নিরাপদে সরতে পারলেও আমার ভাই পারেননি। এরপর থেকেই আমার ভাই নিখোঁজ। আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের শাস্তি চাই।