বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। যার কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষজন। রমজানের বাকি আর মাত্র একদিন। এরমধ্যে একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম।
ববিবার সকালে গাজীপুরের কোনাবাড়ী, কাশিমপুর ও জরুন বাজার ঘুরে দেখা যায় এ চিত্র।
শুক্রবার যে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি ছিল; জানাযায় শনিবার সকাল থেকে ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজিতে ৪০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। লেয়ার এবং পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি করা হচ্ছে ৩৩০ টাকা কেজি। যা একদিন আগেও ছিল ২৯০ টাকা কেজি।
রবিউল নামে এক পোশাক শ্রমিক বলেন, গরুর মাংস কবে খাওয়া বাদ দিয়েছি মনে নেই।
ব্রয়লার মুরগির দাম যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে খাওয়া বাদ দিতে হবে। বিপদে আছি আমরা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন।
তিনি আরও বলেন, অন্য দেশে রমজানের আগে জিনিসপত্রের দাম কমে। আর আমাদের দেশে রমজান মাসে তিনগুণ বৃদ্ধি পায় জিনিসপত্রের দাম।
বাজার মনিটরিং করলে এ সমস্যা থাকত না বলেও জানান তিনি।
কোনাবাড়ী বাজারের মুরগি দোকানদার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আজ দুই/তিন দিন ধরে মুরগির বাজার ওঠানামা করার কারণে আজকে একটু চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। বয়লার প্রতি কেজি ২৩০ টাকা, সোনালী ৩৩০ টাকা ও দেশি প্রতি কেজি ৭৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর ভারেক মার্কেট এলাকার এক ফার্মের মালিক মো. দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যের কারণে খামারিরা লেয়ার মুগরির ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না।
তিনি আরও জানান, খামার থেকে প্রতি কেজি লেয়ার মুরগি বিক্রি করা হচ্ছে ২৬০ টাকা। কিন্তু সেই মুরগি বাজার থেকে সাধারণ ক্রেতারা ক্রয় করছেন ৩৩০ টাকায়। আর এতে খামারিরা যেমন ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, অপর দিকে সাধারণ ক্রেতারাও বাজার থেকে চড়া দামে মুরগি ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছেন। সিন্ডিকেট না ভাঙতে পারলে খামারি ও ক্রেতারা এ দুর্দশা থেকে উত্তীর্ণ হতে পারবেন না।
তাই তিনি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।