spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ইবি ছাত্রশিবিরের মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে অর্ধশতাধিক ইবিয়ানের মিলনমেলা

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) হৃদয়গ্রাহী এক মিলনমেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা।ঈদের...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসশিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ইবির জিওগ্রাফী বিভাগের সভাপতির পদত্যাগ

শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ইবির জিওগ্রাফী বিভাগের সভাপতির পদত্যাগ

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের মুখে মেয়াদ শেষ হওয়ার ৪ দিন আগেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জিওগ্রাফী এন্ড এনভায়রনমেন্ট  বিভাগের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ চেয়ে  আবেদন করেছেন সহকারী অধ্যাপক ইনজামুল হক।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগত্যাগপত্র জমা দেন। এর আগে বিভাগের সেশনজট নিরসন ও বিভাগের নাম পরিবর্তনসহ ৯ দফা দাবিতে বিভাগে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, সেশনজটের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ ছিলো। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের নিকট দাবি জানিয়ে আসছিলেন তারা। এ দিকে সরকার পতনের আন্দোলনের কারণে দীর্ঘ ২ মাস ধরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় সেশনজট আরও বেড়ে যায়।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে শনিবার সকালে ৯ দফা দাবি নিয়ে বিভাগের শিক্ষকদের নিকট যায় শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে তারা শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণ ও হেনস্তা করার অভিযোগ শিক্ষকদের এসময় দাবি না মানলে বিভাগের সভাপতির পদত্যাগ দাবি করেন তারা।

পরে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থী ও রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন সভাপতি। এ দিকে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর সভাপতির মেয়াদ শেষ হবে ইনজামুল হকের।

পদত্যাগপত্র সূত্রে, বিভাগের শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ও ব্যক্তিগত কারণে বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব পালনে অপারগ হয়ে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের আবেদন করেছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ আহাদ ও সুমনের বাড়িতে নবাগত ডিসি

এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি ইনজামুল হক বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমার উপর অনাস্থা জ্ঞাপন করেছে। তারা শুরু থেকেই অত্যন্ত আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে আমার নিকট ৯ দফা দাবি উপস্থাপন করেছিলো।  দাবি মানতে না পারলে পদত্যাগ করতে হবে বলে তারা আমাকে জানিয়ে দেয়। এছাড়া বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে তারা আমাকে অসম্মান করেছে। তাই আমি তাদের দাবি অনুযায়ী তাদের কাছেই পদত্যাগ করেছি।’

বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা সভাপতিকে পদত্যাগ করতে কোনো চাপ প্রয়োগ করিনি। আমরা আমাদের দাবিগুলো শুধু জানিয়েছিলাম। এছাড়া বিভাগের নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। তবে কোনো অপ্রীতিকর শব্দ ব্যবহার করিনি। সভাপতি আমাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। আমরা তাকে পদত্যাগ করার বিষয়ে কথা বলিনি।