spot_img

― Advertisement ―

spot_img

রামগঞ্জে দৈনিক “আমার দেশ” না আসায় পাঠকদের হতাশা

মো. মাসুদ রানা মনি, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর বহুল প্রতীক্ষিত জনপ্রিয় পত্রিকা "দৈনিক আমার দেশ" প্রকাশিত হলেও লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলায়...
প্রচ্ছদসারা বাংলালক্ষ্মীপুরে ফাতেমা হত্যার ঘটনায় স্বামী রাজুর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন 

লক্ষ্মীপুরে ফাতেমা হত্যার ঘটনায় স্বামী রাজুর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন 

মোঃ মাসুদ রানা মনি, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূ ফাতেমা আক্তারকে হত্যার ঘটনায় তার স্বামী রাজুর ফাঁসির দাবিতে বৃহস্পতিবার  সকালে  ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছে স্থানীয় লোকজন ও মাদরাসা শিক্ষার্থীরা।  এতে ফাতেমার স্বজন, স্থানীয় এলাকাবাসী এবং যাদৈয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।  

এতে বক্তব্য দেন- নিহত ফাতেমার মা রোকেয়া বেগম, ভাই আবদুল্লাহ, বোন রাবেয়া বেগম, মামাতো ভাই সুজনসহ এলাকাবাসী।

মানববন্ধনকারীরা হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে বলেন, ফাতেমাকে নৃশংসভাবে তার স্বামী হত্যা করেছে। তার চার বছরের মেয়েকে মা হারা করেছে। তাই হত্যাকারীকে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। 

হত্যার ঘটনায় প্রশাসনের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে মানববন্ধনকারীরা জানায়, সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হলে চন্দ্রগঞ্জ থানা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।  

আরও পড়ুনঃ জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০, সমাবেশে ১৪৪ ধারা জারি

উল্লেখ্য, গত ১৪ অক্টোবর ভোর রাতের দিকে জেলার সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদনগর গ্রামের ভিকটিম ফাতেমা বেগমের বাবার বাড়ির পুকুরে তার মরদেহ পাওয়া যায়। ফাতেমা (২২) মৃত সাইফুল্লাহ মাওলানার মেয়ে। অভিযুক্ত রাজু (২৮) একই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজের বাড়ির মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় সিএনজি অটোরিকশাচালক। তার আরও এক স্ত্রী রয়েছে। ফাতেমা তার প্রথম স্ত্রী।  

এ ঘটনায় ফাতেমার মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে রাজুর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।  

ফাতেমার পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার রাতে ফাতেমা এবং তার স্বামী রাজু তাদের বাড়িতে ছিল। ফাতেমাকে নির্যাতন করে তার স্বামী পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। বিয়ের পর থেকে ফাতেমাকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করা হতো। জমি বিক্রি করে তাকে বিদেশ পাঠানো হয়।  এরপরেও ফাতেমার ওপর অত্যাচার নির্যাতন করতো সে। এছাড়া কয়েক মাস আগে ফাতেমাকে রেখে তার স্বামী রাজু আরেকটি বিয়ে করে। এতে তাদের সংসারে আরও অশান্তি বাড়ে। এ কারণেই ফাতেমাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।  

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্), মো. হাসান মোস্তফা স্বপন বলেন, ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে।