মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ ২০২৪ সালের বিশ্ব মানবাধিকার দিবসটি বাংলাদেশে একটি নতুন গণতান্ত্রিক অধ্যায়ের সূচনা উদযাপনের উপলক্ষ হয়ে উঠেছে। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য সচিব জাহেদুল করিম কচি বলেন, “মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। রাজনীতি আর মানবাধিকার একসঙ্গে পরিচালনা সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন, সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, বিগত সরকারের সময় রাষ্ট্রযন্ত্রের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের উপর নিপীড়ন মানবাধিকার লঙ্ঘনের চূড়ান্ত উদাহরণ।
এই আয়োজনে অংশ নেয় মানবাধিকার সংগঠন অধিকার, আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক), ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন এবং আইন সহায়তা ফাউন্ডেশনসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।
বক্তারা বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন সরকারের পতন ঘটে। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারে উদ্যোগ নেয়। বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, ভারতীয় শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশের নতুন সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে এবং দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুনঃ রামগঞ্জে প্রধান শিক্ষকদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা
এছাড়া বক্তারা জাতিসংঘের গৃহীত সনদ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকর করার আহ্বান জানান।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক কামাল পারভেজসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
বক্তারা এও বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সময় বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনকে দলীয়করণের মাধ্যমে ব্যবহৃত করা হয়েছে। নতুন সরকারকে এসব প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন নিশ্চিত করতে হবে।