spot_img

― Advertisement ―

spot_img

১৫ বছরের অবরুদ্ধ সাংবাদিকতার অবসান ঘটেছেঃ ফয়েজ আহম্মদ

মোঃ মাসুদ রানা মনি, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে শুক্রবার রাতে রামগঞ্জ ব্লাড ডোনারস ক্লাবের এক মতবিনিময় সভায় প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ...
প্রচ্ছদসারা বাংলালক্ষ্মীপুরে দায়িত্ব ফিরে পেতে চান ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ মির্জা 

লক্ষ্মীপুরে দায়িত্ব ফিরে পেতে চান ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ মির্জা 

মোঃ মাসুদ রানা মনি, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ৮নং করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহীদুল ইসলাম জাহীদ মীর্জা তার দায়িত্ব ফিরে পেতে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। 

১১ ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের প্যাডে এই আবেদন করেন তিনি। এর আগে ৫ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ০২.৪২.৫১০০.০০৮.০২.০১২.২৪(৪৩২) স্মারক মূলে তাঁকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত দেখিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের জনসেবা কার্যক্রম সচল রাখার জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রায়হানুল হায়দারকে পরিষদের আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করেন। 

আবেদনে জাহীদ মীর্জা দাবি করেন, তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকায় উপস্থিত থেকে যথাযথভাবে জনগণকে সেবা দিয়ে আসছেন। গত ১৯ আগস্ট ইউপি কার্যালয়ের চেয়ারম্যানের কক্ষে অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা তালা ঝুলিয়ে দেয়। যা তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেন। এরপর থেকে তিনি নিয়মিত পার্শ্ববর্তী গাজীপুর নামক স্থানে তাঁর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে বসে জনগণকে সেবা দিয়ে আসছেন। 

চেয়ারম্যান জাহীদ মীর্জা আরো বলেন, আমি স্বতন্ত্রভাবে অংশগ্রহণ করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছি। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত এলাকায় অবস্থান করে মানুষকে সেবা দিচ্ছি। আমার নামে কোনো মামলা নেই। তারপরও অদৃশ্য কারণে ইউনিয়নে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমি আমার দায়িত্ব ফিরে পেতে চাই। । আবেদনের পর জেলা প্রশাসক মহোদয় বিষয়টি দেখার জন্য স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালককে দায়িত্ব দিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ

ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সৈয়দ আজহারুল ইসলাম জানান, ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা থাকায়, তিনি পরিষদে আসেন না। জন্মনিবন্ধন ছাড়া আমরা নাগরিকত্ব সনদ, প্রত্যয়নপত্র, ওয়ারিশ  সনদ তৈরি করে সীল দিয়ে দিলে সেবাগ্রহীতা জনসাধারণ চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অফিসে গিয়ে স্বাক্ষর করে নিচ্ছেন।

রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মামুন জাহীদ মীর্জার আবেদনের বিষয়টি অবগত রয়েছেন জানিয়ে বলেন, উনার (জাহীদ মীর্জা) অনুপস্থিতির বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। পরবর্তীতে ইউপি সচিবের রিপোর্ট যাছাই বাছাই করেই সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের নিকট রিপোর্ট পেশ করেছি।