নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বাবার থেকে ঈদের জামা নিতে এসে সৎ মায়ের প্রতিহিংসার বলি হয়েছে ১২ বছরের জোনাকি। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়া মডেল মসজিদের পাশে একটি পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত জোনাকির বাবা শাহীন তরফদার তার দ্বিতীয় স্ত্রী নার্গিস বেগমকে নিয়ে যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়া মডেল মসজিদের পাশে ভাড়া বাসায় থাকেন। পাঁচ বছর আগে জোনাকির বাবার সঙ্গে তার মায়ের বিচ্ছেদ হয়। তার মা বর্তমানে তুরস্কে আছেন। সে বেনোপোলে তার নানীর কাছে থাকত।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ নিহতের সৎ মা নার্গিস বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়। পরে যশোর ডিবি পুলিশ নার্গিসকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জোনাকিকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন।
যশোর ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মফিজুল ইসলাম বলেন, জোনাকি বেনাপোলে তার নানীর কাছে থেকে একটি মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো। সে ঈদের জামা কেনার জন্য শহরে বাবার ভাড়া বাড়িতে এসেছিল। সোমবার জোনাকির বাবা শাহীন ইজিবাইক চালাতে বের হয়ে গেলে নার্গিস বেগম তাকে গলা টিপে হত্যা করে। এরপর মরদেহ বাসার পেছনের পুকুরে ফেলে দেয়। এরপর নিহতের বড় ভাই কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি জিডি করে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে মঙ্গলবার দুপুরে ওই পুকুরে জোনাকির মরদেহ ভেসে ওঠে। ঘাতক সৎ মা হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পডুনঃ হাতুড়ির দাম ১লাখ ৮২হাজার, পাইপ কাটার ৯২লাখ ৯৯হাজার
তিনি আরও বলেন, নার্গিস বেগম অভিযোগ করেছেন তার স্বামী গর্ভে আসা তিনটি সন্তান নষ্ট করিয়েছেন। এই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ ও প্রতিহিংসা থেকে তিনি স্বামীর আগের পক্ষের মেয়ে জোনাকিকে হত্যা করেন।
নিহতের বড় ভাই তাওহিদ হোসেন চয়ন বলেন, ‘পাঁচদিন আগে জোনাকি বেনাপোল পোড়াবাড়ি থেকে বাবার রেলগেটের বাসায় বেড়াতে যায়। সোমবার সকাল ১০টা থেকে বোনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর ফেসবুকে স্ট্যাটাস এবং কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। মঙ্গলবার দুপুরে বাবার বাসার পাশে পুকুর থেকে বোনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’