গোবিন্দগঞ্জে কলা ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় দুই আসামী গ্রেফতার

284
গোবিন্দগঞ্জে কলা ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় দুই আসামী গ্রেফতার
গোবিন্দগঞ্জে কলা ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় দুই আসামী গ্রেফতার। ছবিঃ সংগৃহীত

মোঃ আব্দুল খালেক, গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কলা ব্যবসায়ী লেবু শেখ (৪৪) হত্যা মামলার দুই আসামিকে র‌্যাব-২ আগারগাঁও ঢাকা ও র‌্যাব-১৩ গাইবান্ধার যৌথ অভিযানে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার মোহাম্মাদপুরের রায়েরবাজার এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে র‌্যাব-১৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের স্কোয়াড্রন লিডার মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- উপজেলার জরিপপুর দক্ষিনপাড়া এলাকার আলিমুদ্দিনের ছেলে নুর আলম (৩৩) ও কৃষ্ণপুর এলাকার গোলাম রাব্বানীর ছেলে ফজলে রাব্বী (২১)।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জরিপপুর এলাকার লেবু শেখ ও পাশের গ্রামের নুর আলম এবং ফজলে রাব্বীর জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধপূর্ণ ওই জমি আসামী নুর আলম এবং ফজলে রাব্বীদের কাছ থেকে তার প্রাপ্য জমি বুঝে চাইলে লেবু শেখের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তারা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে (৩০ মার্চ) শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কলা ব্যবসায়ী লেবু শেখ উপজেলার রাজা বিরাট বাজার থেকে কলা বিক্রি শেষে বাড়ী ফিরছিলেন। পথে ফুলপুকুরিয়া নামক এলাকায় আসামিদের ধারালো ছোরার কোপে লেবু শেখের গলার শ্বাসনালী ও বুকের উপর গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

উদ্ধারকৃত মালামাল ও হত্যা ব্যবহৃত ছুরি

আরও পড়ুনঃ গোবিন্দগঞ্জে সেতুর নিচ থেকে নবজাতক উদ্ধার

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ মৃত লেবু শেখের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পরদিন নিহত লেবু শেখের ছেলে নাইম ইসলাম বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২ থেকে ৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার প্রেক্ষিতে র‌্যাব-২ আগারগাঁও ঢাকা ও র‌্যাব-১৩ গাইবান্ধা ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং ঢাকার মোহাম্মাদপুরের রায়েরবাজার এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে আসামি নুর আলম ও ফজলে রাব্বীকে গ্রেফতার করা হয়।

মাহমুদ বশির আহমেদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা লেবু শেখ হত্যা মামলায় জড়িত এজাহার নামীয় পলাতক আসামি বলে স্বীকার করেছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আসামিদের গোবিন্দগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।