
মোঃ আসিফুজ্জামান আসিফ, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) আবারও প্রমাণ করেছে তাদের সন্ত্রাস দমনে জিরো টলারেন্স নীতি। গত ১৪ আগস্ট ২০২৫ গভীর রাতে র্যাব-৪ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল রাজধানীর আশুলিয়া থানার পাড়াগ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও একটি রাউন্ড গুলিসহ তিন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন—রাজিব হোসেন (৩৮), মো. আল-আমিন (৩৮) এবং মো. জুয়েল মিয়া (৪৫)। এদের মধ্যে আল-আমিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর গুলি চালিয়ে পালানো কুখ্যাত সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত।
র্যাব-৪ সিপিসি-২, সাভার এবং এজাহার সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রথমে সাভার থানার বালিয়ারপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আল-আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। একই সময়ে দেওয়ানবাড়ি এলাকা থেকে জুয়েল মিয়াকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আশুলিয়ার পাড়াগ্রামে পুনরায় অভিযান চালিয়ে রাজিব হোসেনকে অস্ত্রসহ হাতেনাতে ধরা হয়।
কুখ্যাত আল-আমিনকে গ্রেফতার র্যাবের জন্য বড় একটি সাফল্য। একাধিকবার অভিযান চালিয়েও এর আগে সে পালিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদক সংক্রান্ত একাধিক মামলা রয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা স্বীকার করেছে, তারা একটি আন্তঃজেলা সন্ত্রাসী ও ডাকাতি চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাদের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে—দেশি ও বিদেশি অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ছিনতাই, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ডাকাতি ও চাঁদাবাজি, নির্দিষ্ট বাড়িঘর চিহ্নিত করে ডাকাতি এবং মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে বাস, ট্রাক ও গার্মেন্টসপণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানে ডাকাতি। দীর্ঘদিন ধরে তারা ঢাকা জেলা, পার্শ্ববর্তী জেলা ও মহাসড়কে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল।
আরও পড়ুনঃ জুলাই সনদের সমন্বিত খসড়া প্রস্তুত, প্রাধান্য পাবে সনদ থাকছে আইনি ভিত্তি
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সাভার ও আশুলিয়া থানায় ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হয়েছে।
র্যাব-৪ এর এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, “আমরা সর্বদা সন্ত্রাস ও অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। ভবিষ্যতেও অবৈধ অস্ত্রধারী ও কুখ্যাত অপরাধীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
এই অভিযানের মাধ্যমে শুধু একটি সন্ত্রাসী চক্রের গুরুত্বপূর্ণ তিন সদস্যকেই আটক করা হয়নি, বরং সম্ভাব্য বড় অপরাধও রোধ করা গেছে।