spot_img

― Advertisement ―

spot_img

রামগঞ্জে দৈনিক “আমার দেশ” না আসায় পাঠকদের হতাশা

মো. মাসুদ রানা মনি, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর বহুল প্রতীক্ষিত জনপ্রিয় পত্রিকা "দৈনিক আমার দেশ" প্রকাশিত হলেও লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলায়...
প্রচ্ছদসারা বাংলাআবু সাঈদ হত্যা মামলায় দুই পুলিশ সদস্যের চার দিনের রিমান্ড

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় দুই পুলিশ সদস্যের চার দিনের রিমান্ড

নিউজ ডেস্কঃ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রংপুরে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দুই পুলিশ সদস্যের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে রংপুর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান চার দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তায় গ্রেপ্তার এএসআই মো. আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে আদালতে হাজির করা হয়। পিবিআই পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) আবু সাঈদ হত্যা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের দুই সদস্যকে পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয় এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তার রিকুইজিশনের ভিত্তিতে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে পার্ক মোড়ে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদ নিহত হন। ২৫ বছর বয়সী আবু সাঈদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

এ ঘটনায় আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী ১৮ আগস্ট রংপুরের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হাজারো মানুষ। গতিশীল হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রায় ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, রংপুর মহানগর পুলিশের তৎকালীন কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, রংপুর মহানগর পুলিশের তৎকালীন উপকমিশনার আল মারুফ হোসেন, সহকারী কমিশনার মো. আরিফুজ্জামান, আল ইমরান হোসেন, তাজহাট থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতিভূষণ রায়, এএসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়। এর মধ্যে আমির হোসেন ও সুজন চন্দ্র রায় সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন। রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আবদুল বাতেন ও রংপুরের সাবেক পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ “ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত থাকার গুজব অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের”

এ ছাড়া মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মশিউর রহমান ও লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মণ্ডল, প্রক্টর কার্যালয়ের কর্মকর্তা রাফিউল হাসান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহফুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার রায়, দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরো অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে।