নাটোরে আরও একটি শিল্পপার্ক স্থাপন করবে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ; সেখানে নুডলস, মসলা, সরিষার তেল ও ফিস প্রসেসিং প্ল্যান্ট করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
এ শিল্প পার্ক হলে নাটোরে এক হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ আশা করছে।
বর্তমানে নাটোরে প্রায় ১৩ হাজার চুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রাণের জন্য আম, টমেটো, ডাল, বাদাম, মরিচ ও দুধ উৎপাদন করে। আগামীতে চিনিগুড়া চাল, হলুদ ও কাসাভাসহ আরও কয়েকটি পণ্য চুক্তিভিত্তিক চাষের আওতায় আনতে যাচ্ছে প্রাণ। সেজন্য জেলার আরও পাঁচ হাজার চুক্তিভিত্তিক চাষি প্রাণের সঙ্গে যুক্ত হবেন।
প্রাণ-আরএফএল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেড কারখানার দুই যুগ পূর্তি উপলক্ষে গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল বুধবার নাটোরে স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় কথা বলেন।
বর্তমানে ১৪৫টি দেশে প্রাণের পণ্য নিয়মিত রপ্তানি হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “পণ্যের চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা আমাদের কারখানায় বিভিন্ন সময়ে উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকি। নাটোরে গ্যাস সংযোগ পেলে বিনিয়োগের পথ আরও সুগম হবে।”
২০০০ সালে নাটোরের একডালায় প্রাণের কারখানা চালু হয়। এ পর্যন্ত নাটোরে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় এ শিল্পগ্রুপ।
প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেডের কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে মসলা, সরিষার তেল, লাচ্ছা সেমাই, সস-কেচাপ, জেলি, আচার, চাটনি, নুডলস, মেয়োনিজ, চকোলেট এবং বিভিন্ন ধরনের চিপস।
অন্যদের মধ্যে অ্যাসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার (পাবলিক রিলেশন্স) তৌহিদুজ্জামান, প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেড কারখানার জেনারেল ম্যানেজার হযরত আলীসহ কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।